বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য মোল্লা আবদুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষা বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দাদপুর-গড়গড়ি উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সৌদি প্রবাসী ডা. এম এ মালেক মোল্লা কর্তৃক পৃষ্ঠপোষকতায় ও সহযোগিতায় ৪২ তম বৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
বাঘা উপজেলা এবং পার্শ্ববর্তী লালপুর উপজেলা মিলে ৭৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০৯ জন শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে শ্রেণী অনুযায়ী ৫০ জনকে বৃত্তি সনদ ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। প্রথম স্থান অধিকারীকে পাঁচ হাজার টাকা, দ্বিতীয় স্থান অধিকারীকে তিন হাজার টাকা এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীকে দুই হাজার টাকা পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়াও, ৪৭ জনকে এক হাজার টাকা ও বৃত্তি সনদ প্রদান করা হয়।
বৃত্তির ফলাফল অনুযায়ী, প্রথম স্থান অর্জন করেছে বাঘা উপজেলার বাউসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারহান সাদিক, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী লালপুর উপজেলার গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আবরার জাহিন আবির এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী বাঘা উপজেলার জোতনশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আরিফুর রহমান। ৪৭ জন সাধারণ বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীও উত্তীর্ণ হয়েছে।
বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বৃত্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি আব্দুল খালেক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আব্দুল গণি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম, দাদপুর-গড়গড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমদাদুল হক, বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, জোতরাঘব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম, সহকারী প্রধান শিক্ষক বকুল আহমেদ, এবং আবদুল গনি কলেজের সভাপতি শাহিনুর রহমান বিপ্লবসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হামিদুল ইসলাম জানান, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষার তত্ত্বাবধায়ক সায়েদুল ইসলাম লিটন বলেন, ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই বৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের মেধার প্রসার ঘটাবে।
সাধারণ বৃত্তি প্রাপ্ত হুমায়রা জাহান তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, “প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হওয়া বড় কথা নয়, মেধা যাচাইয়ের সুযোগ পাওয়াই আমার জন্য যথেষ্ট।”
বৃত্তি পরীক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পরীক্ষার সার্বিক দায়িত্বে থাকা প্রভাষক মুফতী মাহমুদ জানান, মরহুম মোল্লা আবদুর রহমানের সুযোগ্য সন্তান সৌদি প্রবাসী ডা. আবদুল মালেক মোল্লার পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৮২ সাল থেকে শিক্ষা বৃত্তি চালু করা হয়েছে। এবছর ৪২ তম বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল সামাদ জানান, মেধাবী গরীব শিক্ষার্থীদের অর্থসহায়তাসহ মসজিদ, মাদ্রাসায়ও তিনি আর্থিক সহায়তা করে আসছেন।
প্রিন্ট