মোঃ রনি আহমেদ রাজু, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি
মাগুরা সদর উপজেলার বেরইল পলিতাই আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরিফুল ইসলাম নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে মাগুরা সদর উপজেলার বেরইল পলিতা বাজারে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
মৃত শরিফুল ইসলাম (৩৫) বেরইল পলিতা ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য আকবর হোসেনের ছেলে। স্থানীয়দের তথ্যে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন কেন্দ্রিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বেরইল পলিতা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য বিএনপি নেতা গাজী রেজা এবং সাবেক ইউপি সদস্য আকবর হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জের ধরে ২০০৮ সালে আকবর হোসেনের লোকজন গাজী রেজার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। তারই জের ধরে নতুন করে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে শরিফুল ইসলাম বেরইল পলিতা বাজারে সঞ্জিবনের সেলুনে শেভ করার জন্য বসে ছিলেন। এমন সময় পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান মেম্বার গাজী রেজার লোকজন অতর্কিতে পিছন থেকে এসে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে এলোপাতাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিতে থাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপানোর সময় তাহার হাতের আঙ্গুল ও শরীর থেকে পা দ্বিখন্ডিত হয়ে যায় এবং সেখানেই তাহার মৃত্যু নিশ্চিত করে হামলা কারিরা ঘটনা স্হান ত্যাগ করে। ঘটনার পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর জখম হওয়া শরিফুল ইসলাম কে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
এই ঘটনার বিষয়ে শরিফুলের চাচাত বোন ও ভাই জানান আমার ভাই পলিতা বেরইল বাজারে শেভ করার জন্য সঞ্জীবনের সেলুনে গিয়ে বসলে, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজা এবং ইউপি সদস্য গাজী রেজার ছেলে সাগর, তুফান তার ভাস্তে মুস্তাক, আসলাম মাহাবুব শিকদারের পুত্র সম্রাট বর্তমান চেয়াম্যান এনামুল হক রাজার পুত্র রিসান মনির ডাকাত মনিরামপুরের কাদেরের ছেলে মিরাজুল সহ ১০ থেকে ১২ জন উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো জানান আমার ভাইয়ের হত্যার ঘটনা স্থলে চেয়ারম্যান এনামুল হক ও ইউপি সদস্য গাজী রেজা উপস্থিত থেকে হুকুম দিয়ে এই নৃশংস্য হত্যা কান্ড পরিচালনা করেন। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আইয়ুব আলী জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
প্রিন্ট