ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সালথায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ডাকাতির নাটক, হয়রানী হচ্ছে এলাকাবাসীঃ বিব্রত পুলিশ Logo হজম হচ্ছে না নিয়োগ বাণিজ্যের অবৈধ ঘুষের টাকা মাগুরাতে আলোচিত ৪ নিয়োগ বাণিজ্যের মামলা Logo মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ Logo ভেড়ামারায় খাবারে বিষ মিশিয়ে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ নববধূর বিরুদ্ধে Logo তানোরে জামায়াতের স্মরণকালের সর্ববৃহৎ কর্মী সভা Logo তানোরে হিমাগার ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা Logo ফরিদপুরে খেয়ালী ‌ নাট্য সম্প্রদায়ের ২১ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুদিন ব্যাপী নাট্য উৎসব সমাপ্ত Logo কুষ্টিয়ায়-নছিমন সংঘর্ষে গরু ব্যবসায়ী নিহত Logo কালুখালী সরকারী কলেজের প্রভাষক আ: রাজ্জাক আর নেই Logo নাটোরে শ্মশান থেকে যুবকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

রাজশাহীতে অনুদানের নামে ইট ভাটায় চাঁদাবাজি

মোঃ মনোয়ার হোসেন, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

রাজশাহীর পবায় অনুদানের নামে চাঁদা উত্তোলন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পবা উপজেলা প্রশাসন ইউএনও’র পক্ষে এ চাঁদা উত্তোলন করা হয়। ৫০ টি ইট ভাটায় প্রায় অর্ধকোটি টাকা চাঁদা উত্তোলন করা হয়েছে।

 

ইট-ভাটা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, নভেম্বর মাসের শুরু থেকে পবা উপজেলায় কাগজপত্র যাচাই বাছাই এর নামে এসব চাঁদা উত্তোলন করা হয়। প্রতিটি ব্যবসায়ীর নিকট ৭০/৮০ হাজার টাকাসহ সকল ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সমিতির তালিকা করে গণহারে এই চাঁদা তোলা হয়।

 

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, পবা উপজেলা ইউএনও অফিসে গিয়ে আর্থিক অনুদানের নামে একটি রশিদের মাধ্যমে এই চাঁদাগুলো নেওয়া হয়েছে।

 

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের এক ভাটার মালিক অসহায়ত্ত্ব প্রকাশ করে বলেন, অর্থিক অনুদানের নামে ঘুষ বাণিজ্য  নতুন কিছু না। ইট ভাটা চালাতে প্রতি বছর গুনতে হয় মোটা অংকের টাকা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার থানা সব কিছুই ম্যানেজ করে আসতে হচ্ছে।

 

তিনি আরো বলেন, প্রতি বছরে এল আর ফান্ড নামের ভাউচারের মাধ্যমে দিতে হতো মোটা অংকের টাকা কিন্তু এই বছরে অর্থিক অনুদানের নামে দিতে হয়েছে। এই ঘুষ বাণিজ্যের বাইরে পরিবেশ অধিদপ্তরও বাদ নেই। ঘুষ না দিলেই চলবে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান।

 

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক পবা উপজেলার আরেক কর্মকর্তা জানান, ইটভাটা মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকারও করছিনা আবার অস্বীকারও করছি না। কত টাকা তোলা হয় বা ব্যয় করা হয় তা সব জানেন ইউএনও স্যার ও অফিস। আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।

 

পবা উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা কায়সার আলম জানান,প্রতি বছরের মত এইবারো ইউএনও স্যারের নির্দেশে ভাটা থেকে এই টাকা তোলার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন,আমার স্যার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন তাই আমি পালন করছি কেন নেওয়া হচ্ছে কোথায় ব্যয় হচ্ছে এসব ইউএনও স্যার বলতে পারবেন।

 

চাঁদা আদায়ের বিষয়টি জানতে চাইলে পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহরাব হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, চাঁদার স্লিপ টা নিয়ে আমার সাথে দেখা করেন সাক্ষাতে কথা বলবো।

 

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারকে  মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তাই তাঁর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সালথায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ডাকাতির নাটক, হয়রানী হচ্ছে এলাকাবাসীঃ বিব্রত পুলিশ

error: Content is protected !!

রাজশাহীতে অনুদানের নামে ইট ভাটায় চাঁদাবাজি

আপডেট টাইম : ০৯:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
মোঃ মনোয়ার হোসেন, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি :

মোঃ মনোয়ার হোসেন, রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

রাজশাহীর পবায় অনুদানের নামে চাঁদা উত্তোলন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পবা উপজেলা প্রশাসন ইউএনও’র পক্ষে এ চাঁদা উত্তোলন করা হয়। ৫০ টি ইট ভাটায় প্রায় অর্ধকোটি টাকা চাঁদা উত্তোলন করা হয়েছে।

 

ইট-ভাটা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, নভেম্বর মাসের শুরু থেকে পবা উপজেলায় কাগজপত্র যাচাই বাছাই এর নামে এসব চাঁদা উত্তোলন করা হয়। প্রতিটি ব্যবসায়ীর নিকট ৭০/৮০ হাজার টাকাসহ সকল ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সমিতির তালিকা করে গণহারে এই চাঁদা তোলা হয়।

 

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, পবা উপজেলা ইউএনও অফিসে গিয়ে আর্থিক অনুদানের নামে একটি রশিদের মাধ্যমে এই চাঁদাগুলো নেওয়া হয়েছে।

 

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের এক ভাটার মালিক অসহায়ত্ত্ব প্রকাশ করে বলেন, অর্থিক অনুদানের নামে ঘুষ বাণিজ্য  নতুন কিছু না। ইট ভাটা চালাতে প্রতি বছর গুনতে হয় মোটা অংকের টাকা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার থানা সব কিছুই ম্যানেজ করে আসতে হচ্ছে।

 

তিনি আরো বলেন, প্রতি বছরে এল আর ফান্ড নামের ভাউচারের মাধ্যমে দিতে হতো মোটা অংকের টাকা কিন্তু এই বছরে অর্থিক অনুদানের নামে দিতে হয়েছে। এই ঘুষ বাণিজ্যের বাইরে পরিবেশ অধিদপ্তরও বাদ নেই। ঘুষ না দিলেই চলবে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান।

 

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক পবা উপজেলার আরেক কর্মকর্তা জানান, ইটভাটা মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকারও করছিনা আবার অস্বীকারও করছি না। কত টাকা তোলা হয় বা ব্যয় করা হয় তা সব জানেন ইউএনও স্যার ও অফিস। আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।

 

পবা উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা কায়সার আলম জানান,প্রতি বছরের মত এইবারো ইউএনও স্যারের নির্দেশে ভাটা থেকে এই টাকা তোলার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন,আমার স্যার আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন তাই আমি পালন করছি কেন নেওয়া হচ্ছে কোথায় ব্যয় হচ্ছে এসব ইউএনও স্যার বলতে পারবেন।

 

চাঁদা আদায়ের বিষয়টি জানতে চাইলে পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহরাব হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, চাঁদার স্লিপ টা নিয়ে আমার সাথে দেখা করেন সাক্ষাতে কথা বলবো।

 

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারকে  মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তাই তাঁর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


প্রিন্ট