আজ, ১৮ ডিসেম্বর, রাজশাহী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজশাহী শত্রুমুক্ত হয়। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিভাগীয় প্রেসক্লাব, রাজশাহী এবং উত্তরবঙ্গের বৃহৎ অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ।
এদিন বিকেলে নগরীর শিরোইল এলাকায় বিভাগীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিভাগীয় প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. আসলাম-উদ-দৌলা। মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রাহক ওয়ালিউর রহমান বাবু এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সভায় বক্তব্য রাখবেন। রাজশাহী মুক্ত দিবস স্মরণে আয়োজিত এই সভায় দুই সংগঠনের সদস্যদের উপস্থিতি জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিভাগীয় প্রেসক্লাব, রাজশাহী ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সভাপতি, সিনিয়র সাংবাদিক সাইদুর রহমান বলেন, “১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয় অর্জিত হলেও রাজশাহীবাসীকে বিজয়ের স্বাদ পেতে আরও দু’দিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল। লালগোলা সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর গিয়াস উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী এবং সেখপাড়া সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর রশিদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাক সেনাদের সঙ্গে লড়াই করে রাজশাহীর গ্রামাঞ্চল মুক্ত করেন। ১৮ ডিসেম্বর, মাদ্রাসা মাঠে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন মেজর গিয়াস উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। পরবর্তীতে পাকিস্তানি সৈন্যরা রাজশাহী ছেড়ে চলে যায় নাটোরে। এভাবে ১৮ ডিসেম্বর রাজশাহী আনুষ্ঠানিকভাবে শত্রুমুক্ত হয়। প্রতিবছর আমরা এই দিবসটি পালন করে থাকি।”
আরও পড়ুনঃ বাঘায় বিজয় দিবসের উৎসব: শহীদ বীর সেনানীদের শ্রদ্ধা ও বিএনপি-জামায়াতের বিজয় উল্লাস
আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করবেন মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রাহক ওয়ালিউর রহমান বাবু, বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক এস এম আব্দুল মুগনী নীরো, জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. আসলাম-উদ-দৌলা, সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন মিন্টু, পাদুকা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শফিকুর রহমান রিপন, সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, প্রকাশকালের সম্পাদক রাজীব আলী, চীফ রিপোর্টার শেখ মো. রুমেল, সাংবাদিক মো. আল আমীন হোসেন প্রমুখ।
প্রিন্ট