আনিসুর রহমান, বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
বৈদ্যুতিক মিটার বক্সে মোবাইল নম্বর লেখা চিরকুট রেখে চারটি মিটার নিয়ে গেছে এক চোর চক্র। চিরকুটে লেখা আছে- ‘চুরি যাওয়া মিটার ফেরত পেতে ফোন করুন ০১৮৫….. নম্বরে’। ওই নম্বরে কল করলে মিটার ফেরত পেতে হলে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা একই নম্বরে নগদ, বিকাশ অথবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হচ্ছে।
আরো বলা হচ্ছে, টাকা পাঠানোর ১৫ মিনিট পর মিটার পৌঁছে দেওয়া হবে। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের বাগাতিপাড়ার লোকমানপুর বাজারে। চুরি গেছে ওই বাজারে থাকা কাঠমিল, রাইসমিল ও ওয়ার্কশপের ৪টি বৈদ্যুতিক মিটার। সাড়ে ৫ হাজার টাকা দিয়ে একজন ফেরতও নিয়েছেন চুরি যাওয়া মিটার।
সূত্রে জানা গেছে, চোর চক্রের সদস্যরা গভীর রাতে চুরি করে নিয়ে যাওয়া মিটারের পাশে পলিথিনে মুড়িয়ে রেখে গেছে চিরকুট। ভুক্তভোগী আসলাম উদ্দিন জানান, এই উপজেলার এবারই প্রথম এমন ঘটনা ঘটেছে। গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে মিল বন্ধ করে বাড়ি গেছি। পরদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মিলে এসে কাজ করার সময় দেখি সব জায়গায় বিদ্যুত আছে কিন্তু মিলে বিদ্যুত নাই। পরে মিটার চেক করতে গিয়ে দেখি মিটার নাই।
আরেক ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, ‘সকালে এসে দেখি মিলের মিটার নাই। পরে চিরকুটে দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করলে ৭ হাজার টাকা দাবি করে পরে দর কষাকষি করে সাড়ে ৫ হাজার টাকা ওই নম্বরে নগদে পাঠালে তারা বলে ১৫ মিনিট পরে মিটার পাওয়া যাবে। সত্যিই ১৫ মিনিট পরে আমার পাশের বাড়ির খড়ির ঘরে মিটার আছে বলে তারা জানায়। পরে সেখানে গিয়ে সত্যিই মিটার পাওয়া যায়।’
নাটোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ আওতাধীন বাগাতিপাড়া সাব জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) মঞ্জুর রহমান বলেন, ‘চুরির বিষয়টি থানা দেখবেন। যাদের মিটার চুরি গেছে তারা থানায় অভিযোগ করে করে ওই কপি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জমা দিলে পরের দিনই তাদের নতুন মিটার দিয়ে সংযোগ দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অমিনুল হক বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি, তবে ভুক্তভোগী কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। তারপরও বিষয়টি দেখছে পুলিশ।’
প্রিন্ট