ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo আলফাডাঙ্গাতে জাসাস এর ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন Logo রাত পোহালেই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বার্ষিক নির্বাচন Logo খোকসায় মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হবি এর ইন্তেকাল, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাপন সম্পন্ন Logo জাহাজে খুন হলেন ছেলে, শোকে চলে গেলেন বাবা Logo কাশিয়ানীতে ভেজাল সার-কীটনাশক জব্দ, দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা Logo তানোরে গভীর রাতে ইউএনও’র অভিযান জনমনে স্বত্তি Logo ফরিদপুরে বৈশাখী টেলিভিশনের ২০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত Logo দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফ-এর বন্ধুত্বপূর্ণ সুসম্পর্ক বজায় রাখতে ঐক্যমত Logo তানোরে হিমাগার ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে কৃষক সমাবেশ Logo বাগাতিপাড়ায় আগুনে পোড়া তিন পরিবার পেল আর্থিক সহায়তা
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

আজ কুমারখালী মুক্ত দিবস

ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার

আজ ৯ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার কুমারখালী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করে কুমারখালীর মুক্তিকামী মানুষেরা বিজয়ের লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়েছিলেন।

 

দীর্ঘ ৯ মাসের সংগ্রামের পর ৯ ডিসেম্বর কুমারখালী শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা যুদ্ধ এবং অসংখ্য শহিদের রক্তের বিনিময়ে মুক্তি লাভ করে কুমারখালী। ধলনগর, করিমপুর, প্রতাপপুর, কুসলীবাসা, বিল বরইচারা, ডাঁসা, ঘাসখাল, বংশীতলা, নন্দনালপুরসহ অন্যান্য এলাকার যুদ্ধের ফলে এই অঞ্চলে প্রায় ১৪ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শত শত নারী-পুরুষ শহিদ হন। পাকিস্তানি বাহিনীর বহু সৈন্যও নিহত হয়।

 

৭ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধারা কুমারখালী শহরে ঢুকে কুন্ডুপাড়া রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমণ করেন। রাজাকারদের সঙ্গে তাদের তুমুল যুদ্ধ হয়। সেই সময় পাকিস্তানি সেনারা কুষ্টিয়া থেকে এসে শহরে ব্রাশ ফায়ার করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। ৮ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্পে হামলা চালানোর জন্য পৃথক পৃথক এলাকায় অবস্থান নেন।

 

৯ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা শহরের চারপাশ থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প (বর্তমান কুমারখালী উপজেলা পরিষদ) আক্রমণ করেন। দীর্ঘ সময়ের যুদ্ধের পর পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা ট্রেনযোগে কুষ্টিয়ার দিকে পালিয়ে যায়। হাতিসাঁকো এলাকায় পৌঁছানোর পর মুক্তিযোদ্ধারা ট্রেনটি লাইনচ্যুত করে দেয় এবং পাকিস্তানি সৈন্যরা পালিয়ে যায়।

 

এদিন রাজাকার কমান্ডার খুশি নিহত হন এবং অন্যান্য রাজাকাররা পালিয়ে যান। এর ফলে কুমারখালী হানাদার মুক্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা রাইফেল, এসএলআর হাতে বিজয়ের উল্লাসে মেতে ওঠেন। স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম হান্নানসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা এই দিন স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। কুমারখালী মুক্ত হওয়ার খবর পেয়ে সর্বস্তরের জনগণ রাস্তায় নেমে আনন্দ মিছিল শুরু করেন।

 

আরও পড়ুনঃ কালুখালীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধ, আহত ৩

 

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম আবুল মনসুর মজনু জানান, “প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর কুমারখালী মুক্ত দিবস পালন করা হয়, যেখানে সর্বস্তরের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেয়।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আলফাডাঙ্গাতে জাসাস এর ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

error: Content is protected !!

আজ কুমারখালী মুক্ত দিবস

আপডেট টাইম : ১১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
ইসমাইল হােসেন বাবু, ষ্টাফ রিপােটার :

ইসমাইল হোসেন বাবু, স্টাফ রিপোর্টার

আজ ৯ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার কুমারখালী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করে কুমারখালীর মুক্তিকামী মানুষেরা বিজয়ের লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়েছিলেন।

 

দীর্ঘ ৯ মাসের সংগ্রামের পর ৯ ডিসেম্বর কুমারখালী শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা যুদ্ধ এবং অসংখ্য শহিদের রক্তের বিনিময়ে মুক্তি লাভ করে কুমারখালী। ধলনগর, করিমপুর, প্রতাপপুর, কুসলীবাসা, বিল বরইচারা, ডাঁসা, ঘাসখাল, বংশীতলা, নন্দনালপুরসহ অন্যান্য এলাকার যুদ্ধের ফলে এই অঞ্চলে প্রায় ১৪ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শত শত নারী-পুরুষ শহিদ হন। পাকিস্তানি বাহিনীর বহু সৈন্যও নিহত হয়।

 

৭ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধারা কুমারখালী শহরে ঢুকে কুন্ডুপাড়া রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমণ করেন। রাজাকারদের সঙ্গে তাদের তুমুল যুদ্ধ হয়। সেই সময় পাকিস্তানি সেনারা কুষ্টিয়া থেকে এসে শহরে ব্রাশ ফায়ার করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। ৮ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্পে হামলা চালানোর জন্য পৃথক পৃথক এলাকায় অবস্থান নেন।

 

৯ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা শহরের চারপাশ থেকে পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প (বর্তমান কুমারখালী উপজেলা পরিষদ) আক্রমণ করেন। দীর্ঘ সময়ের যুদ্ধের পর পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটতে শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা ট্রেনযোগে কুষ্টিয়ার দিকে পালিয়ে যায়। হাতিসাঁকো এলাকায় পৌঁছানোর পর মুক্তিযোদ্ধারা ট্রেনটি লাইনচ্যুত করে দেয় এবং পাকিস্তানি সৈন্যরা পালিয়ে যায়।

 

এদিন রাজাকার কমান্ডার খুশি নিহত হন এবং অন্যান্য রাজাকাররা পালিয়ে যান। এর ফলে কুমারখালী হানাদার মুক্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা রাইফেল, এসএলআর হাতে বিজয়ের উল্লাসে মেতে ওঠেন। স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম হান্নানসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা এই দিন স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। কুমারখালী মুক্ত হওয়ার খবর পেয়ে সর্বস্তরের জনগণ রাস্তায় নেমে আনন্দ মিছিল শুরু করেন।

 

আরও পড়ুনঃ কালুখালীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধ, আহত ৩

 

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম আবুল মনসুর মজনু জানান, “প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর কুমারখালী মুক্ত দিবস পালন করা হয়, যেখানে সর্বস্তরের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেয়।


প্রিন্ট