ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বাংলাদেশের গতানুগতিক রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি কঠিন করে তুলবঃ-হান্নান মাসউদ Logo অবৈধ সম্পদঃ হানিফ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা Logo বিএনপিতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের স্থান নেইঃ -রুহুল কবির রিজভী Logo এবছর উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হয়েছে কেশবপুর উপজেলা Logo ঝালকাঠিতে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য ফরম বিতরণ কার্যক্রমে গতি আনতে জেলা সমন্বয়ক টিম গঠন Logo কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরে জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল‌ অনুষ্ঠিত Logo লালপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়লো খামারির স্বপ্ন Logo কালুখালীতে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত Logo নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে শিক্ষিকার দীর্ঘ অনুপস্থিতিঃ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে Logo ফরিদপুরে ২৭টি “ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র” উদ্বোধন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

আলফাডাঙ্গায় পূর্বশত্রুতার জেরে বাড়িঘর ভাঙচুর, টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট

রবিউল ইসলাম রুবেল, স্টাফ রিপোর্টার

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পূর্ব শত্রুতার জেরে জালাল মাতবরের চাচতো ভাই গোলাম রসুলের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে জামসেদ, সোহেল ও উজ্জল শেখের লোকজনের বিরুদ্ধে।

 

বুধবার ৪ ডিসেম্বর উপজেলার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের যোগীবরাট গ্রামে গোলাম রসুলের বাড়ি ঘর ও ইজিবাইক ভাঙচুর করে টাকা, স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্রসহ একটি নতুন বাইসাইকেল লুট করে নিয়ে গিয়েছে দূর্বৃত্তরা।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩ বছর আগে যোগীবরাট গ্রামের মো. জালাল মাতবরের ভাতিজা শহিদের ছেলে কলেজ ছাত্র মো. শরিফুল ইসলামকে একই গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. জামসেদ গ্রুপের লোকজন যোগীবরাট মাদ্রাসা মোড় থেকে হামলা চালিয়ে গুরুত্বর আহত করে। পরে চিকিৎসারত অবস্থায় কলেজ ছাত্র শরিফুল ইসলাম মারা যায়। এ নিয়ে মো. জালাল মাতবর বাদী হয়ে ২৬ জনকে আসামী করে আলফাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা তুলে নিতে জামসেদ মাতবরের লোকজন জালাল মাতবের লোকজনকে চাপ প্রয়োগ করে।

 

মামলা তুলে না নেয়ায় চলতি বছরের আগস্ট মাসে জালাল মাতবরের চাচাতে ভাই এনামুলের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। সে বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন এনামুলের মা মিলি বেগম। সেই মামলা তুলে নিতে জামসেদ শেখ(৫৫), আবু সাইদ মেম্বরের ছেলে সোহেল শেখ, ও মুনসুর শেখের ছেলে উজ্জল শেখ চাপ প্রয়োগ করেন। বাড়ি ভাঙচুরের মামলা তুলে না নেয়ার কারণে জালাল মাতবরের আরেক চাচতো ভাই গোলাম রসুলের বাড়ি ঘর ভাঙচুর লুটপাট করে ৪ ডিসেম্বর সকালে। এ হামলায় তাদের ঘরের বেড়া কুপিয়ে ভাঙচুরে করে ঘরে ঢুকে সকল আসবাবপত্র তছনছ করে টাকা, স্বর্ণালংকার, ধান, ও বাইসাইকেল  নিয়ে যায়। সেই সাথে গোলাম রসুলের ইজিবাইক ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে।

 

গোলাম রসুল বলেন, আমি আগে ঢাকায় চাকরী করতাম। আমার সাথে কারো শত্রুতা ছিলনা। আর আমি কোন মারামারিতে জরিত না। তারপরেও আমাকে জামসেদের লোকজন এনামুলের বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও হত্যা মামলা তুলে নিতে আমাকে হুমকি দেয়। আমি তাদের বলেছিলাম আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা। আপনারা তাদের সাথে গিয়ে মিটমাট করেন। এ কথা বলার পরে আবু সাইদের ছেলে সোহেল বলে জানবি যখন তোকে ধরবো তখন ঠিকই জানবি। তার দুই দিন পরে আমার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এর তিব্র নিন্দা জানাই। সেই সাথে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

 

মো. জালাল মাতবর বলেন, আমার ভাতিজাকে জামসেদ, সোহেল, ও উজ্জলের লোকজন মারপিট ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যা করে। পরে মামলা তুলে নিতে ওই দূর্বৃত্তরা আমাদের লোকজনের বাড়তে একাধিক বার হামলা চালিয়ে লাখ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। আমরা এী বিচার চাই।

 

মো. জামসেদ শেখ বলেন, মাছ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে, আমার ও জালাল মাতবরের লোকজনের তর্কতর্কি হয়। তার পরে শাহিদের ছেলে শরিফুল আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালাতে গিয়ে আঘাত লেগে চিকিৎসারত অবস্থয় মারা যায়। এর পরে তারা আমাদের নামে হত্যা মামলা দিয়ে বাড়ি ঘর ছড়া করে। পুরুষ শূন্য হওয়ায় ওই জালাল গ্রুপের লোকজন আমাদের বাড়িঘ ভাঙচুর ও লুটপাট করে মালামাল আসবাবপত্র নিয়ে যায়। এখন দিন ফিরেছে। তাই আমাদের লোকজন তাদের উপর হামলা চালিয়েছে।

 

আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এ বিষয়ে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের গতানুগতিক রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি কঠিন করে তুলবঃ-হান্নান মাসউদ

error: Content is protected !!

আলফাডাঙ্গায় পূর্বশত্রুতার জেরে বাড়িঘর ভাঙচুর, টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট

আপডেট টাইম : ১২:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪
রবিউল ইসলাম রুবেল, স্টাফ রিপোর্টার :

রবিউল ইসলাম রুবেল, স্টাফ রিপোর্টার

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পূর্ব শত্রুতার জেরে জালাল মাতবরের চাচতো ভাই গোলাম রসুলের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে জামসেদ, সোহেল ও উজ্জল শেখের লোকজনের বিরুদ্ধে।

 

বুধবার ৪ ডিসেম্বর উপজেলার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের যোগীবরাট গ্রামে গোলাম রসুলের বাড়ি ঘর ও ইজিবাইক ভাঙচুর করে টাকা, স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্রসহ একটি নতুন বাইসাইকেল লুট করে নিয়ে গিয়েছে দূর্বৃত্তরা।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩ বছর আগে যোগীবরাট গ্রামের মো. জালাল মাতবরের ভাতিজা শহিদের ছেলে কলেজ ছাত্র মো. শরিফুল ইসলামকে একই গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. জামসেদ গ্রুপের লোকজন যোগীবরাট মাদ্রাসা মোড় থেকে হামলা চালিয়ে গুরুত্বর আহত করে। পরে চিকিৎসারত অবস্থায় কলেজ ছাত্র শরিফুল ইসলাম মারা যায়। এ নিয়ে মো. জালাল মাতবর বাদী হয়ে ২৬ জনকে আসামী করে আলফাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা তুলে নিতে জামসেদ মাতবরের লোকজন জালাল মাতবের লোকজনকে চাপ প্রয়োগ করে।

 

মামলা তুলে না নেয়ায় চলতি বছরের আগস্ট মাসে জালাল মাতবরের চাচাতে ভাই এনামুলের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। সে বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন এনামুলের মা মিলি বেগম। সেই মামলা তুলে নিতে জামসেদ শেখ(৫৫), আবু সাইদ মেম্বরের ছেলে সোহেল শেখ, ও মুনসুর শেখের ছেলে উজ্জল শেখ চাপ প্রয়োগ করেন। বাড়ি ভাঙচুরের মামলা তুলে না নেয়ার কারণে জালাল মাতবরের আরেক চাচতো ভাই গোলাম রসুলের বাড়ি ঘর ভাঙচুর লুটপাট করে ৪ ডিসেম্বর সকালে। এ হামলায় তাদের ঘরের বেড়া কুপিয়ে ভাঙচুরে করে ঘরে ঢুকে সকল আসবাবপত্র তছনছ করে টাকা, স্বর্ণালংকার, ধান, ও বাইসাইকেল  নিয়ে যায়। সেই সাথে গোলাম রসুলের ইজিবাইক ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে।

 

গোলাম রসুল বলেন, আমি আগে ঢাকায় চাকরী করতাম। আমার সাথে কারো শত্রুতা ছিলনা। আর আমি কোন মারামারিতে জরিত না। তারপরেও আমাকে জামসেদের লোকজন এনামুলের বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও হত্যা মামলা তুলে নিতে আমাকে হুমকি দেয়। আমি তাদের বলেছিলাম আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা। আপনারা তাদের সাথে গিয়ে মিটমাট করেন। এ কথা বলার পরে আবু সাইদের ছেলে সোহেল বলে জানবি যখন তোকে ধরবো তখন ঠিকই জানবি। তার দুই দিন পরে আমার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এর তিব্র নিন্দা জানাই। সেই সাথে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

 

মো. জালাল মাতবর বলেন, আমার ভাতিজাকে জামসেদ, সোহেল, ও উজ্জলের লোকজন মারপিট ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কোপ দিয়ে হত্যা করে। পরে মামলা তুলে নিতে ওই দূর্বৃত্তরা আমাদের লোকজনের বাড়তে একাধিক বার হামলা চালিয়ে লাখ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে। আমরা এী বিচার চাই।

 

মো. জামসেদ শেখ বলেন, মাছ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে, আমার ও জালাল মাতবরের লোকজনের তর্কতর্কি হয়। তার পরে শাহিদের ছেলে শরিফুল আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালাতে গিয়ে আঘাত লেগে চিকিৎসারত অবস্থয় মারা যায়। এর পরে তারা আমাদের নামে হত্যা মামলা দিয়ে বাড়ি ঘর ছড়া করে। পুরুষ শূন্য হওয়ায় ওই জালাল গ্রুপের লোকজন আমাদের বাড়িঘ ভাঙচুর ও লুটপাট করে মালামাল আসবাবপত্র নিয়ে যায়। এখন দিন ফিরেছে। তাই আমাদের লোকজন তাদের উপর হামলা চালিয়েছে।

 

আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এ বিষয়ে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


প্রিন্ট