সম্প্রতি এমনই একটি অভিযোগ চাটমোহর থানা পুলিশের কাছে আসলে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছিল। গত ২১ জুন সকাল নয়টার দিকে মধ্যশালিখা মহল্লার জনৈক রেবা খাতুন (৩৭) এর বিকাশ নাম্বারে তার মেয়ে জামাই ৭ হাজার টাকা পাঠান। একই তারিখে বেলা ১১টার দিকে রেবা খাতুনের বিকাশ নাম্বার থেকে ওই ৭ হাজার টাকা ক্যাশআউট হয়ে যায়। তখন রেবা খাতুন বিকাশ এজেন্ড রানার কাছে গিয়ে বিষয়টি জানালে তিনি তাকে সাতপাঁচ বুঝিয়ে ফেরত পাঠিয়ে দেন।
অভিযোগ পেয়ে থানা পুলিশ বিকাশ এজেন্ট রানার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার এর তথ্য সংগ্রহ করে দেখতে পায় রেবা খাতুনের বিকাশ নাম্বারের টাকা রানা তারই অপর আরেকটি নাম্বারে ০১৩১২৫২৬৭৯০ (যা রেজিস্ট্রেশন করা গাইবান্ধা জেলার অপরিচিত একজনের নামে) সেন্ড মানি করে দিয়ে আবার ওই নাম্বার থেকে রানা তার ব্যবহৃত এজেন্ট বিকাশ নাম্বার ০১৭৬৭২৯৬৬৮৮ তে ক্যাশআউট এর মাধ্যমে বের করে নিয়েছে।
ওসি আনোয়ার হোসেন আরো জানান, প্রতারণার বিষয়টি সত্যতা মেলায় ও ভুক্তভোগী রেবা খাতুন থানায় অভিযোগ করলে বিকাশ এজেন্ট রানাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় তার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।