প্রদীপ্ত চক্রবর্তী, পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দুদের অন্যতম ধর্মীয় পর্ব ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাস যাত্রা / রাস উৎসব আজ থেকে শুরু হচ্ছে। ” রাস ” শব্দটি এসেছে ” রস ” থেকে । রস মানে আনন্দ, দিব্য প্রেম , কোলাহল , বিলাস , ক্রিয়া , দিব্য অনুভূতি । লীলা অর্থ নৃত্য । ঈশ্বরের সঙ্গে আত্মার মহামিলনই রাস । শ্রীকৃষ্ণের বজ্র লীলার অনুকরণে বৈষ্ণবীয় ভাবধারায় অনুষ্ঠিত উৎসব হচ্ছে রাস । শ্রীমৎ ভাগবতের একটি বিশেষ অংশ হল রাস।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হেমন্তের মধ্যভাগে অর্থাৎ কার্তিক – অগ্রহায়নের শুক্লপক্ষের ভরা পূর্ণিমায় বৃন্দাবনে রাধা সহ সখীদের সঙ্গে নিয়ে মেতেছিলেন রাস লীলায়। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু পরবর্তী সময়ে এই উৎসব মহোৎসবে পরিণত করেছিলেন । ভারতের মথুরা , বৃন্দাবন , নদীয়া জেলার শান্তিপুর ও নবদ্বীপে রাস উৎসবের বিশালতা দেখা যায়। বাংলাদেশের সুন্দরবনের দুবলারচর , কুয়াকাটার কলাপাড়া , চট্টগ্রামের জে এম সেন হল , নন্দনকানন তুলসীধাম, পটিয়ার হবিলাসদ্বীপ, বোয়ালখালীর শাকপুরা , মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে রাস উদযাপিত হচ্ছে।
গৌরভক্তদের মহাতীর্থ পীঠ বীর চট্টলার পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ শ্রী শ্রী গৌরগোবিন্দ আশ্রম প্রতিষ্ঠার ৮২ বছরে পদার্পণ ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের রাস যাত্রা উপলক্ষে ১৪ নভেম্বর থেকে চারদিন ব্যাপি মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাস উৎসব ২০২৪ ।
রাসযাত্রা উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে – ধর্ম সম্মেলন , তারক ব্রহ্ম মহানাম যজ্ঞ , শ্রীশী রাজবিহারী পূজা, প্রতিমা প্রদর্শনী, ভোগ রাগ, প্রসাদ বিতরণ, লীলা প্রদর্শন । রাস উৎসব কে কেন্দ্র করে মন্দিরের চতুর্দিকে অর্ধ কিলোমিটার জুড়ে বসেছে রাস মেলা। প্রতিবছর হিন্দু সম্প্রদায় ছাড়াও ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এলাকার সহস্রাধিক মানুষের সমাগম ঘটে বহু বছরের প্রাচীন এ রাস মেলায় । এবারও এমনটাই হবে উৎসব উদযাপন পরিষদের প্রত্যাশা ।
প্রিন্ট