রাশিদুল ইসলাম রাশেদ, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে চলতি সপ্তাহে পৃথক ৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন উপজেলা প্রশাসন। বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এর নেতৃত্বে লালপুর বাজার ত্রিমহুনী চত্তরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৫ জন মাছ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। এসময় সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ লঙ্ঘন করে ফুটপাতে মাছ বিক্রি করার অপরাধে মাছ ব্যবসায়ী সবুজ আলীকে ১০ হাজার টাকা, আসকান আলীকে ১০ হাজার টাকা, সান্টুকে ১০ হাজার টাকা ও রাব্বি নামের আরেকজনকে ৭ হাজার টাকাসহ মোট ৪৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে জাটকা ইলিশগুলো উপজেলার স্থানীয় দুইটি মাদ্রাসায় প্রদান করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত লালপুরের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে মান যাচাই ছাড়া ও লেবেলবিহীন ফার্মেন্টেড মিল্ক (মিষ্টি দই) উৎপাদন এবং বিক্রয়ের অপরাধে “জিহাদ দইঘর” ও “লোকনাথ হোটেল এন্ড মিষ্টান্ন ভান্ডার” প্রতিষ্ঠান দুটিকে ১০,০০০ টাকা করে মোট ২০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মরিচের গুড়া ও সরিষার তেল উৎপাদনের দায়ে “মিজান ট্রেডার্স” প্রতিষ্ঠানকে ৫,০০০ টাকা জরিমানা সহ প্রায় ১৬০ কেজি মরিচের ভেজাল গুড়া জব্দ করে ধ্বংস করা হয়।
এছাড়া গত শনিবার (৯ নভেম্বর) উপজেলার হাশেমপুর গ্রামে শ্রী নারায়ণ কুমার (৬০) ও শ্রী পিযুস কুমারের (৪২) ভেজাল গুড় তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৩০,০০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয় এবং প্রায় ২ লক্ষ টাকা মূল্যের ভেজাল গুড় তৈরির কেমিক্যাল, বিভিন্ন উপকরণ ও সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়।
এ নিয়ে চলতি সপ্তাহে পৃথক ৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে উপজেলায় ১ লক্ষ ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও ২ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের বিভিন্ন উপকরণ ও সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়েছে।
এবিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদি হাসান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।
প্রিন্ট