কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও ভেড়ামারা থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যসহ (মেম্বার) ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত শনিবার ও রবিবার রাতে ভেড়ামারাউপজেলার নওদাপাড়া ও ধরমপুর-সাতবাড়িয়া এবং কুমারখালী উপজলোর চাপড়া ও শিলাইদহ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬জন আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী কে গ্রেফতার করা হয়।
আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হবে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. সাহাবুল ইসলাম লালু, উপজেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম শফি এবং যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মানিক মিয়া।
কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মনোয়ার হোসেন লালন (৫০), শিলাইদহ ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মৃত হাতেম আলির ছেলে ও আওয়ামী লীগের কর্মী আব্দুল ওহাব (৪৫), চাপড়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের মৃত কিরামত উদ্দিনের ছেলে এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের অবসর প্রাপ্ত কর্মচারী মো. আলাউদ্দিন (৬১)।
কুমারখালী থানার পুলিশ জানায়, ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র জনতার মিছিলে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে ২৪ আগস্ট আসাদুজ্জামান আলী খান নামে বৈষম্য বিরোধী এক ছাত্র নেতা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় কুষ্টিয়া ৪ আসনের সাবেক এমপি ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র সামছুজ্জামান অরুণ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও পৌরসভার ৩ নম্বর কাউন্সিলর হারুন অর রশিদসহ আওয়ামী লীগের ২৪ জনকে আসামি করা হয়।
এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আসামি রয়েছে আরও ১০ থেকে ১৫ জন। কুমারখালী থানা মামলা নম্বর-১০। মামলা তদন্তের প্রাপ্ত আসামি হিসেবে শনিবার রাতে তিনজনকে গ্রেফতার করে।
তবে স্বজনদের অভিযোগ, বিশেষ অভিযানের নামে নিরাপদ ব্যক্তিদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দুপুরে সরেজমিন থানা চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, গ্রেফতারদের স্বজনরা থানা চত্বরে ভিড় করেছেন। তাদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ।
ভেড়ামারা থানার ওসি শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, আসামিদের ভেড়ামারার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুমারখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুকল্যাণ বিশ্বাস বলেন, ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র জনতার মিছিলে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে ২৪ আগস্ট থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা তদন্তে প্রাপ্ত সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে ৩ জনকে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়।
প্রিন্ট