কুষ্টিয়ার মিরপুরের নওদা খাদেমপুর এলাকায় পদ্মার চর দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে তৌহিদুল ইসলাম (৪২) নামের একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৩জন। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুত্বর আহত হয়েছেন মৃত কাশেম আলীর ছেলে কুদু সরদার(৪৫) এর অবস্থা আশংকাজনক।
আজ রবিবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার সময় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া ইউনিয়নের নওদা খাদেমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম।
বহলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম জানান,নিহত তৌহিদুল ইসলাম নওদা খাদেমপুর এলাকার মৃত মোজাহার আলী সর্দ্দারের ছেলে । দীর্ঘ দিনধরে ঐ এলাকায় সর্দ্দার.প্রামানিক,গাইন ও মালিথা বংশের মধ্যে খুন-খারাপি চলে আসেছে।
আহতরা হলেন,নওদা খাদেমপুর এলাকার আতিয়ার সরদারের ছেলে আলামিন (৩০), রাজু সরদারের ছেলে রুবেল (২৭), চেরু সরদারের ছেলে লিটু ও আজিজ, নাসিরের ছেলে রিজভী ও জুয়েল এবং মৃত মোজাহার সরদারের ছেলে আনিচুর, রুস্তম প্রামানিকের ছেলে এজাবার (৪৫), আতিয়ার সরদারের ছেলে জাহাঙ্গীর (৫০)। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন মৃত কাশেম আলীর ছেলে কুদু সরদার, সাত্তারের ছেলে ইসলাম, কাদেরের ছেলে সাজাহান এবং আফজাল গাইন এর ছেলে টিপু গাইন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, পদ্মা নদীর মাঝে খাদেমপুর এলাকায় দাদাপুর নামক নতুন চর জেগে উঠেছে। এই চরের দল নিয়ে এলাকার কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা চলছিলো। স্থানীয় সরদার, গাইন ও প্রামানিক বংশের মধ্যে চরের দখল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, চরদখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বর্তমানে ঐ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত তৌহিদুল ইসলামের মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। বংশীয়গত ভাবে পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি।
প্রিন্ট