রাজশাহীতে মাদরাসা নির্মাণের নামে জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী জমির মালিক উম্মে হানী সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। ০৫ নভেম্বর মঙ্গলবার রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে উম্মে হানী বলেন, ‘‘চার বছর আগে রাজশাহীর নতুন বুধপাড়া এলাকায় সোয়া ছয় কাটা জমি কিনেছিলাম। গত ২০ অক্টোবর সেই জমিতে সীমানা প্রাচীর দেয়ার কাজ শুরু করি। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দা মোজাম্মেলের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন এসে আমাদের প্রাচীর বন্ধ করার হুমকি দেয়। তবুও আমরা কাজ চালিয়ে যাই। এরপর ২৭ অক্টোবর রাতে মোজাম্মেল ও তার অনুসারীরা এসে সীমানা প্রাচীরের উত্তর দিকের অংশ ভেঙে দেয়।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এরপর ৩ নভেম্বর আবারো প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু করলে মোজাম্মেলসহ প্রায় ৩০-৪০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে আমাদের কাজ বন্ধের হুমকি দেয় এবং বলে, ‘উত্তর দিকে মাদরাসা নির্মাণ করা হবে, তাই আপনাদের ২ ফিট জমি দান করতে হবে।’ আমরা তাদের জমি বিক্রি করার প্রস্তাব দিলে তারা তা অস্বীকার করে এবং জোরপূর্বক ২ ফিট জমি দখলের হুমকি দেয়।’’
উম্মে হানী বলেন, ‘‘পরদিন সকালে গিয়ে দেখি তারা আমাদের সীমানা প্রাচীরের উত্তর দিকের অংশ ভেঙে ফেলেছে। আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি। মোজাম্মেল রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমার জমি জবরদখল করতে চাইছে। এ বিষয়ে মতিহার থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি। বর্তমানে আমি পরিবারসহ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি এবং চাই একটি সুষ্ঠু সমাধান।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘যদি তারা ২ ফিট জমি নিতে চায়, তবে তাদের আমার কাছ থেকে কিনে নিতে হবে।’’ এ বিষয়ে জানতে মোজাম্মেল হককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
প্রিন্ট