৩রা নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের আয়োজনে কোপেনহেগেন নরোব্ররো হেলেনে বেলা ৩টায় শহীদের স্বরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।রবিবার অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন এম এ লিংকন মোল্লা এবং সভা পরিচালনা করেন মাহবুবুর রহমান।
বক্তব্য রাখেন খোকন মজুমদার, মোঃ শহীদ, সামী দাস, সাব্বির আহমেদ, নুরুল ইসলাম টিটু, ইউসুব চপল, হিল্লোল বড়ুয়া, মোছাদ্দেকুর রহমান রাসেল, মানজুর আহমেদ লিমেন, রকিবুল ইসলাম রকি।
উপস্হিত ছিলেন,নিজাম উদ্দিন, মাহবুব আলম,মাসুদ চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ রাসেল, মোঃ রেজাউল করিম রাজু, মনিরুজ্জামান মিলু, মোয়াজ্জেম হোসেন অপু, ছিয়াম উদ্দিন রানা ও আরও অনেকে। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ৩ নভেম্বর কলঙ্কময় ও বেদনাবিধুর একটি দিন। রাষ্ট্রের হেফাজতে জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়।
বাঙালি জাতির ইতিহাসে কলঙ্কিত দিন এইটি, বাঙালী জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতে ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে জাতীয় চার মহান নেতাদের, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম পরিচালক ও সংগঠক মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ ঘনিষ্ঠ সহচর, বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে।এমন জঘন্য, নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
বক্তরা আরো বলেন,জাতীয় চার নেতার মৃত্যু নেই। কর্মই তাদেরকে ইতিহাসে অমরত্ব দিয়ে বাঁচিয়ে রাখবে।যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালি জাতি থাকবে ততদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামের পাশে জাতীয় চার নেতার নাম অম্লান হয়ে থাকবে।
সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ নিয়ে বক্তরা আরও বলেন,অবরুদ্ধ বাংলাদেশ আজ একটা কারাগারে পরিণত হয়েছে। দেশে আজ মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই।কুচক্রিমহল ১৯৭৫ সালের পরেও একই রকম পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল কিন্তু দীর্ঘ ২১বছর পরে আওয়ামী লীগ আবার ঘুরে দাঁড়িয়ে ছিল।বাংলাদেশ যতদিন থাকবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগ্রত থাকবে। জাতীয় চার নেতার অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করবে।
অনুষ্ঠানের শেষাংশে জাতীয় চার নেতা সহ সকল শহীদের প্রতি স্রদ্ধা নিবেন করে দোয়া পরিচালনা করেন ডেনমার্ক আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ শহীদ।
প্রিন্ট