২০১৯ সালের বিজয়ের মাসে তিনজন উদ্যমী যুবক ফরিদপুর ট্রাভেলার্স নামের একটি পেজ ও গ্রুপ তৈরি করে তাদের যাত্রা শুরু করেন। ধীরে ধীরে গ্রুপের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে। কিছুদিন পরই ৪০ জনের একটি দল নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হয়। এরপর থেকে তারা এলাকার ভ্রমণপিপাসুদের নিয়ে দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণ শুরু করেন। বর্তমানে প্রতি মাসে এ ট্রাভেলার্স থেকে ভ্রমণপিপাসুরা বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছেন।
সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের আস্থা অর্জনের জন্য গত পাঁচ বছরে শতাধিক দলকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণের সুযোগ করে দিয়েছে। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের সাতজন পরিচালনা রয়েছেন—দুইজন সিনিয়র এবং পাঁচজন জুনিয়র পরিচালক। তাদের মধ্যে কেউ ব্যবসায়ী, কেউ শিক্ষার্থী, যারা পড়ালেখার পাশাপাশি বাড়তি আয়ও করছে। ফলে পরিবারকে পড়ালেখার খরচ বহন করতে হচ্ছে না, বরং এখন তারা পরিবারের অর্থনৈতিক সহায়তা করছে।
বর্তমানে ফরিদপুর ট্রাভেলার্সের ফেসবুকে ফলোয়ার সংখ্যা ২৬ হাজার। পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আরিফুজ্জামান বলেন, “এক বড় ভাইয়ের কথায়, যখন আমরা প্রথম ট্যুরে যাই, তখন নানা ঝামেলার সম্মুখীন হই। বাসের সিট নিয়ে সমস্যা, হোটেলের পরিবেশ এবং খাবারসহ নানান প্রতিবন্ধকতা ছিল। এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নিই, নিজেই সবকিছুর আয়োজন করবো। তাই ফরিদপুর ট্রাভেলার্স নাম দিয়ে ফেসবুকে একটি পেজ তৈরি করি এবং প্রচার চালাই। আমরা খুব অল্প টাকার বিনিময়ে ট্যুরের ব্যবস্থা করি যাতে সকল শ্রেণির মানুষ ভ্রমণ করতে পারে।”
বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ লাভের চিন্তা না করে সেবার দিকে নজর দিচ্ছে। তারা ভ্রমণপিপাসুদের বিশ্বাস ও ভালোবাসার মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যেতে চান।
২০১৯ সালে ফরিদপুর ট্রাভেলার্সের যাত্রা শুরু হওয়ার পর সাজেক ভ্যালী, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, সিলেট, সেন্টমার্টিন, বান্দরবান ও কুয়াকাটা সহ দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণের ব্যবস্থা করেছে। বর্তমানে ফরিদপুর ট্রাভেলার্সের পরিচালনায় সাতজন সদস্য রয়েছেন, যাদের মধ্যে এডমিনের দায়িত্বে আছেন আরিফুজ্জামান ও শ্রাবণ শেখ, সিনিয়র মডারেটর জাহিদ হাসান এবং মডারেটর হিসেবে রয়েছেন মাহদী হাসান, মোহাম্মদ মানিক, মেহেদী হাসান, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও মোহাম্মদ ফেরদৌস।
প্রিন্ট