চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেল স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষিপণ্য কম খরচে পৌঁছে দিতে বিশেষ কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন চালু করেছে রেলওয়ে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে এই ট্রেনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়, তবে কৃষিপণ্য ছাড়াই রহনপুর ছেড়ে যায়।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, আগামী মঙ্গলবার খুলনা, বৃহস্পতিবার পঞ্চগড় এবং শনিবার রহনপুর থেকে ঢাকায় কৃষিপণ্য নিয়ে যাতায়াত করবে ট্রেনটি। প্রতিদিন ১২০ টন পণ্য আনা-নেয়ার সুবিধা মিলবে। প্রতি কেজি সবজি ও কৃষিপণ্য পরিবহনে খরচ হবে ১ টাকা ৮ পয়সা থেকে ১ টাকা ৪৭ পয়সা। ট্রেনের অত্যাধুনিক লাগেজ ভ্যানে ফল ও সবজি পরিবহন করা যাবে এবং রেফ্রিজারেটেড লাগেজ ভ্যানে হিমায়িত পণ্য, মাছ, মাংস ও দুধ পরিবহন করা হবে।
রহনপুর রেল স্টেশনের কুলির সর্দার সবুর আলী জানান, সকালে ট্রেনটি ছাড়ার কারণে অনেক চাষী ও ব্যবসায়ী পণ্য পাঠাতে অনিহা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া ঢাকায় কুলি বহনের খরচ বেশি হওয়ায় ট্রেনে পণ্য পরিবহন করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না তারা। প্রথম দিন হিসেবে রহনপুর থেকে কোনো পণ্য বুকিং হয়নি।
ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম মন্তব্য করেন, ট্রেনের মূল ভাড়া কম হলেও মাঠ থেকে স্টেশন এবং স্টেশন থেকে মোকামে পণ্য পরিবহনে বাড়তি খরচ রয়েছে। এছাড়া কুলিদের সঙ্গে টাকা নিয়ে সমস্যা হয়। সড়কপথে পণ্য পাঠাতে তাদের খরচ হয় প্রতি কেজিতে দুই থেকে আড়াই টাকা, কিন্তু ট্রেনে সব মিলিয়ে খরচ ৩ টাকার বেশি হচ্ছে।
চাষী ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য কেজিপ্রতি ভাড়া ১ টাকা ৩০ পয়সা নির্ধারণ করা হলেও কুলি ও পরিবহন খরচ মিলিয়ে খরচ কেজিপ্রতি ২ থেকে ৩ টাকা হয়ে যায়। এছাড়া ট্রেনের সময়সূচি বিপর্যয়ের কারণে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তারা রেল কর্তৃপক্ষের কাছে কুলিদের বহন খরচ নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন।
রহনপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার জুনায়েদ আল মামুন জানিয়েছেন, কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে ট্রেনটি প্রতি শনিবার সকাল ৯:১৫ মিনিটে রহনপুর ছেড়ে যাবে। যাত্রাপথে এটি নাচোল, আমনূরা, কাকনহাট, রাজশাহী, সরদহরোড, আড়ানি, আব্দুলপুর, আজিমনগর, ঈশ্বরদী বাইপাস, চাটমোহর, বড়ালব্রীজ ও জয়দেপুর স্টেশন থামবে।
প্রিন্ট