সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ দেড় যুগ পরে পাবনার চাটমোহর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে পরিবর্তন করে চমক সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি এস এম নজরুল ইসলামকে সভাপতি ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক কে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ জুন) রাতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক ব্যরিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বরাবর দেয়া এক চিঠিতে মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়। এই সাংগঠনিক নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
নিজের অনুভুতি জানাতে গিয়ে নবনির্বাচিত সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, কাগজ হাতে পাবার পর সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে প্রথমে বঙ্গবন্ধুর মূর্যালে পুষ্পার্ঘ অর্পনের মধ্যে দিয়ে কার্যক্রম শুরু করবো। আমাকে সভাপতি মনোনীত করায় কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের প্রতি। সেইসাথে চাটমোহরবাসীর প্রতিও অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
নজরুল ইসলাম বলেন, আমি যেন আমার উপরে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারি সেজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। নবীন প্রবীণ সবার সমন্বয়ে একটি সুন্দর কমিটি উপহার দিয়ে দলকে গতিশীল করার চেষ্টা করবো। কেন্দ্র ও জেলার নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে এই কমিটি গঠন করা হবে।
নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক বলেন, ১৮ বছর পরে চাটমোহর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছে। সেই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আমি সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও চাটমোহরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আগামীতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং চাটমোহরের সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে আত্মনিয়োগ করবো জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার উপর যে আস্থা রেখেছেন আমি সেই আস্থার প্রতিদান দিতে সবসময় সচেষ্ট থাকবো।
উল্লেখ্য, ১৮ বছর পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি চাটমোহর বালুচর খেলার মাঠে চাটমোহর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকলেও সেদিন কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।
তার আগে ২০০৩ সালের ৩০ জুলাই চাটমোহর সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সাখো সভাপতি ও আব্দুল মালেক সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তারপর থেকে বিভিন্ন সময়ে উদ্যোগ নেয়া হলেও অজ্ঞাত কারণে উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন বারবার পিছিয়ে যায়।
প্রিন্ট