মারকাজ মসজিদের দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে জুবায়ের- সাদ গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) শহরতলীর তেবাড়িয়া মারকাজ মসজিদ প্রাঙ্গণে বেলা ১২ টার দিকে এই সংঘর্ষ শুরু হয়ে দুপুর দুইটা পর্যন্ত চলে।
ঘটনায় ঢাকা- রাজশাহী মহাসড়ক প্রায় ১ ঘন্টার মতো বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই পক্ষকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকার পতনের পর থেকে তেবাড়িয়া মারকাজ মসজিদের দখল নেয় তাবলীগ জামাতের জুবায়ের পন্থীরা। পরে সেখানে একটি ক্বওমী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে এবং সেখানে কিছু ছাত্র অবস্থান নেয়।এ নিয়ে মতবিরোধ শুরু হয়। জেলা প্রসাশক না থাকায় বিষয়টি নিষ্পত্তি সম্ভব হয়নি। আজ সকালে সাদ পন্থি তাবলীগ জামাতের লোকজন ‘তাবলীগ ইজতেমা’ আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে তেবাড়িয়া মারকাজ মসজিদে অবস্থান নেয়।
এসময় দু’পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হলে একপর্যায়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এসময় দুই পক্ষের লোকজন সড়কে অবস্থান নিলে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে যান চলাচলা বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে দীর্ঘ সময় যানজটে সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী এসে দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে যান চলাচলা কিছুটা স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে পুরো এলাকা জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুর রহমান বলেন, দু’পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা এখানে এসেছি। আমরা দুই পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করছি। অনেক মানুষ আহত হয়েছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আরিফ হোসেন বলেন, আগামী রোববার বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দু’পক্ষের সাথে বসা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষারী বাহিনী বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। বর্তমানে যারা যেভাবে আছেন সেই ভাবেই অবস্থান করবেন। বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ এবং সেনা সদস্য সেখানে অবস্থান করবেন। সাথে জেলা প্রশাসনের নিয়োজিত একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অবস্থান করবেন।
প্রিন্ট