পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক লাহিনীপাড়ার বাসিন্দা জীবন হোসেন বলেন, মাস গেলেই বেড়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিল। কোনো তথ্য জানতে গেলে বিদ্যুতের লোকজন খারাপ আচরণ করেন। সে জন্য বিলের কাগজ দিতে এলে আজ সকাল নয়টার দিকে জাহাঙ্গীর নামের এক কর্মচারীকে আটকে রাখেন জনগণ। শর্ত দিয়ে তিন ঘণ্টা পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
নাহিদ বিশ্বাস নামের এক গ্রাহকের অভিযোগ, পল্লী বিদ্যুতের লোকজন ভালো করে মিটার না দেখেই বিল তৈরি করেন। সে জন্য চলতি মাসে ৩২০ ইউনিটের বিল এসেছে। যা একইভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে গত মাসের চেয়ে ১৪০ ইউনিট বেশি।
লাহিনীপাড়া এলাকার বাসিন্দা ভ্যানচালক রফিকুল ইসলামের অভিযোগ, একইভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে সেপ্টেম্বরে ১২০ ইউনিট আর অক্টোবরে ২৩০ ইউনিট বিল এসেছে। বিদ্যুৎ কর্মচারীর অনিয়মে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বিল। এক মাসের ব্যবধানে ১১০ ইউনিট বেশি বিল এসেছে।
কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক বলেন, গ্রাহকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে পুনরায় বিল তৈরি এবং ওই কর্মচারীকে প্রত্যাহারের শর্তে অবরুদ্ধ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
- আরও পড়ুনঃ এক মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড কাঠালিয়া
কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসমাত কামাল বলেন, যাচাই করে বিলে অনিয়ম থাকলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর অনিয়ম না পাওয়া গেলে গ্রাহকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভুতুড়ে বা মনগড়া বিল তৈরি করার কোনো সুযোগ নেই।
প্রিন্ট