যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদের টেবিলের গ্লাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সাথে জড়িত জাকারিয়া হোসেন (২৫) নামের এক যুবককে পুলিশ হেফাজতে নিলেও অভিযোগ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক। জাকারিয়া সদরের দেয়াড়ার ফরিদপুর গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আ ন ম বজলুর রশীদ জানান, দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে জাকারিয়া তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে প্রবেশ করে। তিনি ডেঙ্গু রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় প্লাটিলেট সাসপেনশন মেশিন নেই কেনো তা কৈফিয়ত চাইতে গিয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ শুরু করেন। এ সময় রাগান্বিত হয়ে তিনি টেবিলের গ্লাসে থাবা দিয়ে ভাঙচুর করেন।
তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, “জাকারিয়া আমার কক্ষে এসে প্লাটিলেট সাসপেনশন মেশিনের জন্য কৈফিয়ত চান এবং তখন দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন। তাকে শান্ত করার চেষ্টা করা হলে তিনি গ্লাস ভেঙে ফেলেন।”
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশের সহযোগিতা চান। পুলিশের টহল টিম গিয়ে জাকারিয়াকে হেফাজতে নেয়, তবে পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রিন্ট