নাটোরের লালপুরে উধনপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: বেলাল হোসেনের বিরুদ্ধে নিজের দুর্নীতি, সরকারি অর্থ আত্মসাত ও নিয়োগ বানিজ্যের ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে উধনপাড়া, রহিমপুর, আকবর পুর ও অমৃতপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে প্রধান শিক্ষক মো: বেলাল হোসেনের পদত্যাগ দাবি করে উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত আবেদন পত্র দিয়েছেন।
এলাকাবাসীর পক্ষে মো: আ. রাজ্জাক বলেন, প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে আমরা এলাকাবাসী ও সচেতন মহল দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ জানিয়ে আসছিলাম কিন্তু বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে তিনি আমাদের উদ্বেগকে পাত্তা না দিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে আসছিলেন। জুলাই বিপ্লবের পর এলাকার সচেতন মহল তাকে বারবার অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ করে বিদ্যালয়ে শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির আহবান করেন।
কিন্তু তিনি বরাবরের মতই ঔদ্ধত্যপূর্ণ নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। এতে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহে প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি, নিয়োগ বানিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগ জানিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আবেদন করেন এবং গত ২১ অক্টোবর শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীরা একটি মানববন্ধন করেন। এ বিষয়ে জালালউদ্দিন মোল্লা জালু উপরোক্ত বক্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক উদ্দেশ্যপ্রণিতভাবে সকল ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) তিনি স্কুলের অদূরে রহিমপুর বাজারে মো: মানসুর আলী ও আ. রহমানের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং হঠাৎ অসুস্থতার ভান করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
তিনি আরো বলেন, এখন এলাকাবাসী বিদ্যালয়ের অনিয়ম দূর করে নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টিতে প্রধান শিক্ষক মো: বেলাল হোসেনের পদত্যাগ চাই।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি সকাল ১০ টায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে রহিমপুর বাজার সংলগ্ন রাস্তায় মো: মানসুর আলী, আ. রহমান ঝাটু ও মো: মুসা আমার পথ আটকিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারে। এতে আহত হয়ে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছি।
প্রিন্ট