নড়াইল শহরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ অভিযান পূনরায় শুরু হয়েছে। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে বিকাল পযন্ত নড়াইল-যশোর সড়কে শহরের রূপগঞ্জ এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। উচ্ছেদ অভিযানে নড়াইল পৌরসভার ৩টিসহ ৪টি মার্কেটের দেড় শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নজরুল ইসলাম, নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ।
এ সময় নড়াইল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর শহরের ভওয়াখালী এলাকায় ৩টি পাকা স্থাপনা, কয়েকটি বাউন্ডারি ওয়াল, ১২টি টিনসেড দোকান এবং ৩০টির মতো ফুটপাতের কাঁচা অস্থায়ী ঘর উচ্ছেদ করা হয়।
সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় মহাসড়কের অংশ হিসেবে শহরতলি মালিবাগ থেকে শহরের ভেতর দিয়ে সীতারামপুর পর্যন্ত ৫.৫০ কিঃমিঃ নড়াইল শহরাংশের সড়ক প্রশস্তকরণ ও ৪ লেনে উন্নীতকরণ” শীর্ষক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ২০২২ সাল থেকে শুরু হয়েছে। প্রশস্তকরণ কজে বিভিন্ন স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলার আওতায় শহরের ভওয়াখালী ও রুপগঞ্জ বাজারের ব্যক্তি পর্যায়ের বেশ কয়েকটি মার্কেট, নড়াইল পৌরসভা ও জেলা পরিষদের কয়েকটি মার্কেটও রয়েছে। ১শ ৭৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এ কাজটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং সড়ক বিভাগের পক্ষে কাজটি তদারকি করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ২০২৫ সালের জুন মাস নাগাদ কাজটি সম্পন্ন হবে।
নড়াইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, বুধবার ৪টি মার্কেটের দেড় শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। প্রশস্তকরণের কাজ এগিয়ে নিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বিভিন্ন সময়ে নোটিশ দেয়া হলেও দখলদাররা জায়গা খালি না করায় এ অভিযান শুরু হয়েছে। কয়েকটি মার্কেটের আদালতে মামলা রয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি হলে বাকিগুলো উচ্ছেদ করা হবে। এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান।
প্রিন্ট