ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নাটোরে শ্মশান থেকে যুবকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণে আহত আ.লীগ কর্মীর মৃত্যু Logo চাটমোহরে স্কুলছাত্রী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, মূল আসামি আটক Logo নাটোরের লালপুরে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ Logo মুকসুদপুরে সিসিডিবির কৃষি উপকরণ ও চেক বিতরণ Logo বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ভাঙ্গা উপজেলার উদ্যোগে যোগদান অনুষ্ঠান Logo আমতলীতে ইউএনওর বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন Logo বোয়ালমারীতে মিফতাহুল জান্নাহ্ মহিলা মাদরাসার উদ্বোধন অনুষ্ঠিত Logo পাংশায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo শিবপুরে একটি বিদেশী অস্ত্রসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

নড়াইলে নদী ভাঙ্গন, আতঙ্কে এলাকাবাসী

নড়াইলের নবগঙ্গা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে সড়ক, বাজার, শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি, মসজিদ, কবরস্থানসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

 

গত ১৫ দিনের অব্যাহত ভাঙনে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদীগর্ভে চলে গেছে বসতবাড়ি, ফসলী জমি, কাঁচাপাকা ঘর, গাছপালা এবং অন্যান্য স্থাপনা। এ ছাড়া কালিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বারইপাড়া মাহাজন সড়কও ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে, যা এলাকার মানুষের জীবিকা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

শুক্রবার সরেজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, কাঞ্চনপুর এলাকায় নদীর তীব্র ভাঙন চলছে। নদীগর্ভে চলে গেছে ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং অন্যান্য স্থাপনা। যদি বারইপাড়া মাহাজন সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়, তাহলে হাজার হাজার একর ফসলী জমি এবং শত শত মাছের ঘের ভেসে যাবে।

 

কালিয়া উপজেলার বাসিন্দা মোঃ আলেক শেখ বলেন, “আমাদের বাড়ি নদীতে চলে গেছে। মাথা গোঁজার মত এই বাড়িটাই ছিল, সেটিও চলে গেছে। এখন খুব কষ্টে জীবনযাপন করছি।” একই গ্রামের আশরাফ মুক্তার জানান, “আমরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। এই রাস্তা ভেঙে গেলে আমাদের সবকিছু নদীতে চলে যাবে।”

 

বসতবাড়ি হারিয়ে দিশেহারা ফুলি বিবি বলেন, “আমার বাড়ি নদীতে চলে গেছে। এখন কোথায় থাকবো, কী করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।” তবিবুর শেখ আবেগঘন হয়ে বলেন, “এই বাড়িটা তাও নদীতে চলে গেলে, পরিবার নিয়ে কোথায় থাকবো জানি না।”

 

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ভাঙন রোধে অতীতে জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল, তবে স্থায়ীভাবে বাধ নির্মানের দাবি জানিয়েছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।

 

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন জানান, “আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জরুরিভাবে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

 

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা বলেন, “স্থায়ীভাবে ভাঙনরোধের জন্য সার্ভে করে প্রকল্প গ্রহণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নাটোরে শ্মশান থেকে যুবকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার

error: Content is protected !!

নড়াইলে নদী ভাঙ্গন, আতঙ্কে এলাকাবাসী

আপডেট টাইম : ০৬:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
খন্দকার সাইফুল্লা আল মাহমুদ, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল :

নড়াইলের নবগঙ্গা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে সড়ক, বাজার, শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি, মসজিদ, কবরস্থানসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

 

গত ১৫ দিনের অব্যাহত ভাঙনে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদীগর্ভে চলে গেছে বসতবাড়ি, ফসলী জমি, কাঁচাপাকা ঘর, গাছপালা এবং অন্যান্য স্থাপনা। এ ছাড়া কালিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বারইপাড়া মাহাজন সড়কও ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে, যা এলাকার মানুষের জীবিকা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

শুক্রবার সরেজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, কাঞ্চনপুর এলাকায় নদীর তীব্র ভাঙন চলছে। নদীগর্ভে চলে গেছে ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং অন্যান্য স্থাপনা। যদি বারইপাড়া মাহাজন সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়, তাহলে হাজার হাজার একর ফসলী জমি এবং শত শত মাছের ঘের ভেসে যাবে।

 

কালিয়া উপজেলার বাসিন্দা মোঃ আলেক শেখ বলেন, “আমাদের বাড়ি নদীতে চলে গেছে। মাথা গোঁজার মত এই বাড়িটাই ছিল, সেটিও চলে গেছে। এখন খুব কষ্টে জীবনযাপন করছি।” একই গ্রামের আশরাফ মুক্তার জানান, “আমরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। এই রাস্তা ভেঙে গেলে আমাদের সবকিছু নদীতে চলে যাবে।”

 

বসতবাড়ি হারিয়ে দিশেহারা ফুলি বিবি বলেন, “আমার বাড়ি নদীতে চলে গেছে। এখন কোথায় থাকবো, কী করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।” তবিবুর শেখ আবেগঘন হয়ে বলেন, “এই বাড়িটা তাও নদীতে চলে গেলে, পরিবার নিয়ে কোথায় থাকবো জানি না।”

 

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ভাঙন রোধে অতীতে জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছিল, তবে স্থায়ীভাবে বাধ নির্মানের দাবি জানিয়েছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।

 

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল কুমার সেন জানান, “আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জরুরিভাবে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

 

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা বলেন, “স্থায়ীভাবে ভাঙনরোধের জন্য সার্ভে করে প্রকল্প গ্রহণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”


প্রিন্ট