ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

চাকরিতে পুনর্বহালের দাবীতে বিভিন্ন দপ্তরের দারে দারে ঘুরছেন ইছাহাক মিয়া

চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবী নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে ধর্না দিয়েও চাকরিতে বহাল হতে পারছেননা উপজেলার গৌড়চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ ইছাহাক মিয়া।

তিনি জানান, গত ২২/৫/১৯৯৩ সালে জেলা যাচাই কমিটির প্রধান  তৎকালীন সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ শামসুর রহমান ও সদস্য সচিব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুরুদ্দিন বিশ্বাস ইছাহাক মিয়ার অনুদান অনুকুলে মঞ্জুরির সুপারিশ করলেও তাকে তার স্বপদে বহাল করা হয়নি বলে জানান ভুক্তভোগী ইছাহাক মিয়া।

জানা গেছে, গত ২৪/১২/১৯৯০ সালে সদরপুর উপজেলার গৌড়চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পান তিনি। নিগোগের সময়ে ইছাহাক মিয়ার বয়োস কিছুটা কম থাকার কারনে ঐ বিদ্যালয়ের তৎকালীন মেনেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষক মিলে তাকে তার পদ থেকে বহিস্কার করার জন্য চক্রান্ত করতে থাকেন। এক পর্যায় ব্যাপারটি জেলা শিক্ষা অফিসার এর দৃষ্টিগোচর হওয়ায় জেলা যাচাই কমিটি এই মর্মে সিদ্ধান্তে উপনিত হয় যে, ৯/৭/১৯৯২ ইংরেজি তারিখে মোঃ ইছাহাক মিয়ার বয়োস ১৮ বৎসর পূর্ণ হওয়ার উক্ত তারিখ হতে ইছাহাক মিয়ার অনুদান অনুকুলে মঞ্জুরির সুপারিস করেন।

 

কিন্তু ভুক্তভোগী ইছাহাক মিয়া এই প্রতিবেদকের নিকট অভিযোগ করেন সেই সুপারিস পত্রটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুনসুর আলির যোগসাজশে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে সরিয়ে ফেলেন। বিধায় ঐ সুপারিস পত্রটি আর আমার কাছে পৌছায়নি।

 

তিনি আরো অভিযোগ করেন যে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুনসুর আলি নিজেই আমার নামে ভুয়া পদত্যাগ পত্র দেখিয়ে আমাকে ১৮/১০/১৯৯৮ তারিখে আমার পদ থেকে আমাকে সাসপেন্ট করে তিনি একটি রেজিলেশন করেন।

 

সেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে, উক্ত সহকারী শিক্ষক মোঃ ইছাহাক মিয়ার বেতনের সুপারিস হলে আমি তাকে পুনরায় বিদ্যালয়ে নিয়ে নিব। কিন্তু ভুক্তভোগী ইছাহাক মিয়া বলেন আমার বেতনের সুপারিস হলেও আমাকে অদ্যবধি আমার পদে আমাকে নেওয়া হয়নি। এ ছাড়াও ঐ স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক মুনসুর আলি আগে ছিলেন ঐ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক।

 

 

পরে প্রধান শিক্ষক এর পদ শুন্য হলে তিনি নিজেই কোন রকম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ না করেই তার পদ থেকে পদত্যাগ করে ম্যানেজিং কমিটির যোগসাজশে প্রধান শিক্ষক পদে বহাল হয়ে যান। এ ছাড়াও গৌড়চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গাটি গৌড়চর মৌজায় হলেও বিদ্যালয় টি স্থাপন করা হয়েছে ঠেংগামারী মৌজায় বলেও অভিযোগ রয়েছে।  জেলা সুপারিস কমিটির সুপারিস থাকা সত্যেও স্বপদে বহাল হতে পারছেননা ইছাহাক মিয়া। তিনি তার পদে বহাল হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অধিদপ্তরের সু দৃষ্টি কামনা করছেন।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এবার ২১ দিনের মধ্যে জবাব দিতে আদানিকে সমন পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

error: Content is protected !!

চাকরিতে পুনর্বহালের দাবীতে বিভিন্ন দপ্তরের দারে দারে ঘুরছেন ইছাহাক মিয়া

আপডেট টাইম : ০৪:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
মোঃ নুরুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার :

চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবী নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে ধর্না দিয়েও চাকরিতে বহাল হতে পারছেননা উপজেলার গৌড়চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ ইছাহাক মিয়া।

তিনি জানান, গত ২২/৫/১৯৯৩ সালে জেলা যাচাই কমিটির প্রধান  তৎকালীন সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ শামসুর রহমান ও সদস্য সচিব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুরুদ্দিন বিশ্বাস ইছাহাক মিয়ার অনুদান অনুকুলে মঞ্জুরির সুপারিশ করলেও তাকে তার স্বপদে বহাল করা হয়নি বলে জানান ভুক্তভোগী ইছাহাক মিয়া।

জানা গেছে, গত ২৪/১২/১৯৯০ সালে সদরপুর উপজেলার গৌড়চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পান তিনি। নিগোগের সময়ে ইছাহাক মিয়ার বয়োস কিছুটা কম থাকার কারনে ঐ বিদ্যালয়ের তৎকালীন মেনেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষক মিলে তাকে তার পদ থেকে বহিস্কার করার জন্য চক্রান্ত করতে থাকেন। এক পর্যায় ব্যাপারটি জেলা শিক্ষা অফিসার এর দৃষ্টিগোচর হওয়ায় জেলা যাচাই কমিটি এই মর্মে সিদ্ধান্তে উপনিত হয় যে, ৯/৭/১৯৯২ ইংরেজি তারিখে মোঃ ইছাহাক মিয়ার বয়োস ১৮ বৎসর পূর্ণ হওয়ার উক্ত তারিখ হতে ইছাহাক মিয়ার অনুদান অনুকুলে মঞ্জুরির সুপারিস করেন।

 

কিন্তু ভুক্তভোগী ইছাহাক মিয়া এই প্রতিবেদকের নিকট অভিযোগ করেন সেই সুপারিস পত্রটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুনসুর আলির যোগসাজশে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে সরিয়ে ফেলেন। বিধায় ঐ সুপারিস পত্রটি আর আমার কাছে পৌছায়নি।

 

তিনি আরো অভিযোগ করেন যে, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুনসুর আলি নিজেই আমার নামে ভুয়া পদত্যাগ পত্র দেখিয়ে আমাকে ১৮/১০/১৯৯৮ তারিখে আমার পদ থেকে আমাকে সাসপেন্ট করে তিনি একটি রেজিলেশন করেন।

 

সেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে, উক্ত সহকারী শিক্ষক মোঃ ইছাহাক মিয়ার বেতনের সুপারিস হলে আমি তাকে পুনরায় বিদ্যালয়ে নিয়ে নিব। কিন্তু ভুক্তভোগী ইছাহাক মিয়া বলেন আমার বেতনের সুপারিস হলেও আমাকে অদ্যবধি আমার পদে আমাকে নেওয়া হয়নি। এ ছাড়াও ঐ স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক মুনসুর আলি আগে ছিলেন ঐ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক।

 

 

পরে প্রধান শিক্ষক এর পদ শুন্য হলে তিনি নিজেই কোন রকম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ না করেই তার পদ থেকে পদত্যাগ করে ম্যানেজিং কমিটির যোগসাজশে প্রধান শিক্ষক পদে বহাল হয়ে যান। এ ছাড়াও গৌড়চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গাটি গৌড়চর মৌজায় হলেও বিদ্যালয় টি স্থাপন করা হয়েছে ঠেংগামারী মৌজায় বলেও অভিযোগ রয়েছে।  জেলা সুপারিস কমিটির সুপারিস থাকা সত্যেও স্বপদে বহাল হতে পারছেননা ইছাহাক মিয়া। তিনি তার পদে বহাল হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অধিদপ্তরের সু দৃষ্টি কামনা করছেন।


প্রিন্ট