রাজশাহীর বাঘায় এক কলেজের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ের প্রভাষকের পথরোধ করে লৌহার রড,হাতুড়ি দিয়ে মারধর করে নগদ টাকা,হিরার আংটিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়াসহ উদ্ধারে যাওয়া অপর একজনকে মারধরের অভিযোগে ১৩ জনের বিরুদ্ধে বাঘা থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) মানিকুর রহমান মানিকের পিতা সাহারউদ্দিন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মানিকুর রহমান মানিক উপজেলার মনিগ্রাম আদর্শ কলেজের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ের প্রভাষক। আহত মুক্তার একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮ টার প্রভাষক মানিকুর রহমান বাঘা বাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের তেপুকরিয়া গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে তেপুকরিয়া দক্ষিনপাড়া গ্রামের এমামুলের সড়ক সংলগ্ন দোকানের সামনে এমামুল ,সেন্টু ও মাসুদের হুকুমে সংবদ্ধ অন্য আসামীরা তার পথরোধ করে এমামুলের দোকান ঘরে নিয়ে, সাটার বন্ধ করে হত্যার উদ্দ্যেশে লোহার রড ও হাতুরি দিয়ে মাথায়,শরীরের বিভিন্ন অংশে পিটিয়ে গুরুতর যখম করে।
এ সময় তার কাছে থাকা ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা,একটি হিরার আংটি, মোবাইল ফোন, জাতীয় পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স ,এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নেয়। পরে ওই গ্রামের মুক্তার নামে একজন বিষয়টি জানতে পেরে সেখান থেকে মানিকুর রহমান মানিককে উদ্ধার করতে যায়। পরে আসামীরা তাকেও মারপিট করে তার কাছে থাকা ৫ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। মামলায় আতœগোপনে থাকায় অভিযুক্তদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে বুধবার সকাল ৮টায় বাঘা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কলিগ্রামের বাসিন্দা পাপ্পু আহম্মেদ নামে একজনকে চাপাতি দিয়ে মাথায়,হাতে,পায়ে কুপিয়ে যখন করা হয়েছে। পাপ্পু আহম্মেদের দাবি একই পৌরসভার ছাতারি গ্রামের আল অমিনের বাড়িতে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পাপ্পু আহম্মেদ কলিগ্রামের জয়েন উদ্দিনের ছেলে। আল আমিন উপজেলার ছাতারি গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
আল আমিনকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তার মা জানান, পাপ্পু আহম্মেদ আমার বাড়িতে এসে তার টাকা না পেয়ে আমার ছেলেকে আগে মারপিট করে। পরে আমার ছেলে আল আমিন তাকে মেরেছে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক বলেন, আগের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তার চেষ্টা চলছে। পরের ঘটনায় অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিন্ট