ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বাংলাদেশের গতানুগতিক রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি কঠিন করে তুলবঃ-হান্নান মাসউদ Logo অবৈধ সম্পদঃ হানিফ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা Logo বিএনপিতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের স্থান নেইঃ -রুহুল কবির রিজভী Logo এবছর উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হয়েছে কেশবপুর উপজেলা Logo ঝালকাঠিতে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য ফরম বিতরণ কার্যক্রমে গতি আনতে জেলা সমন্বয়ক টিম গঠন Logo কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরে জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল‌ অনুষ্ঠিত Logo লালপুরে অগ্নিকাণ্ডে পুড়লো খামারির স্বপ্ন Logo কালুখালীতে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত Logo নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে শিক্ষিকার দীর্ঘ অনুপস্থিতিঃ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে Logo ফরিদপুরে ২৭টি “ভূমি সেবা সহায়তা কেন্দ্র” উদ্বোধন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ঠাকুরগাঁওয়ে বুড়িরবাঁধ এলাকায় শুরু হয়েছে মাছ ধরা উৎসব

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বুড়ির বাঁধ এলাকায় শুরু হয়েছে মাছ ধরার উৎসব । হাতে জাল নিয়ে সারিবদ্ধ হয়ে পানিতে নেমেছেন কয়েক হাজার মানুষ। কেউ ভেলায়, কেউ ছোট নৌকায় করে চলছে মাছ ধরার এক প্রতিযোগিতা। এ যেন মাছ ধরার ধুম চলছে ৷ এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্যটি ঠাকুরগাঁও বুড়ির বাঁধ এলাকার । ১৪ অক্টোবর সোমবার বিকেলে ছেড়ে দেয়া হয় বাঁধের পানি । তখন থেকে শুরু হয়ে জেলেদের আগমন । উৎসবটি চলবে ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার দিনব্যাপী ।

 

 

উৎসবে যোগ দিয়ে অসংখ্য মানুষ মাছ ধরতে ব্যস্ত সময় পারছেন। এদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে। বাদ যাননি বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও। কারও হাতে পলো, কারও হাতে চাবিজাল, খেয়াজাল, টানাজাল বা ছেঁকাজাল। যাদের মাছ ধরার সরঞ্জাম নেই তারাও বসে নেই। খালি হাত দিয়েই কাঁদার মধ্যে মাছ খুঁজছেন। অনেকে আবার ভিড় জমিয়েছে মাছ ধরা দেখতে। এই মাছ উৎসব ঘিরে বাঁধ এলাকায় বসানো হয়ে বিভিন্ন খাবারের দোকান।

 

যানা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ১৯৫১-৫২ সালের দিকে শুষ্ক মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষি জমির সেচ সুবিধার জন্য এলাকায় একটি জলকপাট (সুইসগেইট) নির্মাণ করা হয়। জলকপাটে আটকে থাকা সেই পানিতে প্রতিবছর মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা ছাড়া হয়। আর এ পোনাগুলোর দেখভাল করে আকচা ও চিলারং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)। ৫০ একর এলাকাজুড়ে সুক নদীর ওপর নির্মিত বুড়ির বাঁধ মৎস্য অভয়াশ্রম। সারা বছর কাউকে এখানে মাছ ধরতে দেওয়া হয় না। শুধু জমানো পানি ছেড়ে দেওয়ার পর এ সময়ই মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়।

 

হরিপুর উপজেলার গেদুড়া থেকে মাছ ধরতে আসা শরিফুল ইসলাম বলেন, ভোর রাতে মাছ ধরার জন্য এসেছি৷ গতবারে এতক্ষণে ভালো মাছ পেয়েছিলাম। এবারে কারেন্ট জালের ব্যবহার বেশি হবার কারণে মাছ মিলছে না৷ প্রতিবারে বলা হয়ে থেকে কারেন্ট জাল ব্যবহার করা যাবে না৷ অথচ প্রশাসন কোনোভাবে আটকাতে পারছে না।

 

 

উৎসব দেখতে আসা স্কুল শিক্ষক খাদেমুল ইসলাম বলেন, মাছ কেনার জন্য এসেছি। তবে এবারে মাছের দাম অনেক বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা। এবারে নানা প্রজাতির মাছ ও পাওয়া যাচ্ছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠাকুরগাঁও জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম যাকারিয়া বলেন, বুড়ি বাঁধটি খুলে দেয়ার পরে মাছ ধরার ধুম পড়েছে। নানা প্রজাতির মাছ ধরছেন এ উৎসবে৷ কৃষিতে সেচ দিতে সুবিধা হবার জন্য এ জলকপাট নির্মাণ করা হয়েছে৷ প্রতিবারে গেট খোলা হলে মাছ ধরে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ৷

 


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের গতানুগতিক রাজনীতিবিদদের জন্য রাজনীতি কঠিন করে তুলবঃ-হান্নান মাসউদ

error: Content is protected !!

ঠাকুরগাঁওয়ে বুড়িরবাঁধ এলাকায় শুরু হয়েছে মাছ ধরা উৎসব

আপডেট টাইম : ০৩:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
জসীমউদ্দীন ইতি, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি :

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বুড়ির বাঁধ এলাকায় শুরু হয়েছে মাছ ধরার উৎসব । হাতে জাল নিয়ে সারিবদ্ধ হয়ে পানিতে নেমেছেন কয়েক হাজার মানুষ। কেউ ভেলায়, কেউ ছোট নৌকায় করে চলছে মাছ ধরার এক প্রতিযোগিতা। এ যেন মাছ ধরার ধুম চলছে ৷ এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্যটি ঠাকুরগাঁও বুড়ির বাঁধ এলাকার । ১৪ অক্টোবর সোমবার বিকেলে ছেড়ে দেয়া হয় বাঁধের পানি । তখন থেকে শুরু হয়ে জেলেদের আগমন । উৎসবটি চলবে ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার দিনব্যাপী ।

 

 

উৎসবে যোগ দিয়ে অসংখ্য মানুষ মাছ ধরতে ব্যস্ত সময় পারছেন। এদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে। বাদ যাননি বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও। কারও হাতে পলো, কারও হাতে চাবিজাল, খেয়াজাল, টানাজাল বা ছেঁকাজাল। যাদের মাছ ধরার সরঞ্জাম নেই তারাও বসে নেই। খালি হাত দিয়েই কাঁদার মধ্যে মাছ খুঁজছেন। অনেকে আবার ভিড় জমিয়েছে মাছ ধরা দেখতে। এই মাছ উৎসব ঘিরে বাঁধ এলাকায় বসানো হয়ে বিভিন্ন খাবারের দোকান।

 

যানা যায়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ১৯৫১-৫২ সালের দিকে শুষ্ক মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষি জমির সেচ সুবিধার জন্য এলাকায় একটি জলকপাট (সুইসগেইট) নির্মাণ করা হয়। জলকপাটে আটকে থাকা সেই পানিতে প্রতিবছর মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা ছাড়া হয়। আর এ পোনাগুলোর দেখভাল করে আকচা ও চিলারং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)। ৫০ একর এলাকাজুড়ে সুক নদীর ওপর নির্মিত বুড়ির বাঁধ মৎস্য অভয়াশ্রম। সারা বছর কাউকে এখানে মাছ ধরতে দেওয়া হয় না। শুধু জমানো পানি ছেড়ে দেওয়ার পর এ সময়ই মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়।

 

হরিপুর উপজেলার গেদুড়া থেকে মাছ ধরতে আসা শরিফুল ইসলাম বলেন, ভোর রাতে মাছ ধরার জন্য এসেছি৷ গতবারে এতক্ষণে ভালো মাছ পেয়েছিলাম। এবারে কারেন্ট জালের ব্যবহার বেশি হবার কারণে মাছ মিলছে না৷ প্রতিবারে বলা হয়ে থেকে কারেন্ট জাল ব্যবহার করা যাবে না৷ অথচ প্রশাসন কোনোভাবে আটকাতে পারছে না।

 

 

উৎসব দেখতে আসা স্কুল শিক্ষক খাদেমুল ইসলাম বলেন, মাছ কেনার জন্য এসেছি। তবে এবারে মাছের দাম অনেক বেশি চাচ্ছেন বিক্রেতারা। এবারে নানা প্রজাতির মাছ ও পাওয়া যাচ্ছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠাকুরগাঁও জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম যাকারিয়া বলেন, বুড়ি বাঁধটি খুলে দেয়ার পরে মাছ ধরার ধুম পড়েছে। নানা প্রজাতির মাছ ধরছেন এ উৎসবে৷ কৃষিতে সেচ দিতে সুবিধা হবার জন্য এ জলকপাট নির্মাণ করা হয়েছে৷ প্রতিবারে গেট খোলা হলে মাছ ধরে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ৷

 


প্রিন্ট