মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার ঝামা বাজার ফেরিঘাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ ও গ্রামীণ মেলা। মধুমতি নদীর দুই পাড়ে হাজারো মানুষের ভিড় দেখা যায় এই উৎসবে। শত বছরের বার্ষিক নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে ঝামা বাজার ও ফেরিঘাট এলাকায় বসেছিল গ্রামীণ মেলা।
মেলায় বড় বড় মাছ, মাংস, বাহারি মিষ্টির দোকান, বাচ্চাদের খেলনা, চুড়িমালা ও নানা পণ্যের সমাহার ছিল। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ও গ্রামীণ মেলায় মাগুরা, নড়াইল, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, যশোর, গোপালগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার নারী ও পুরুষ উপস্থিত হন। প্রতিবছরের মতো এ বছরও নৌকা বাইচের আয়োজনকে কেন্দ্র করে দর্শনার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
স্থানীয় ঝামা গ্রামবাসীদের আয়োজনে এবারের মেলায় মোট ছয়টি বাইচ নৌকা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির রেজাউল করিমের নৌকা প্রথম, নড়াইলের লোহাগড়ার কামরুল ইসলামের নৌকা দ্বিতীয় এবং কাশিয়ানীর আব্দুর রাজ্জাকের নৌকা তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নের পিতা আক্কাস শেখ। নৌকা বাইচ উদযাপন কমিটির সভাপতি মোঃ মাসুদুর রহমান মাসুদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা যুবদলের সভাপতি ওয়াশিকুর রহমান কল্লোল, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ হোসেন, মাগুরা জেলার সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি এস এম তারিকুল ইসলাম কবির, মহম্মদপুর যুবদলের সভাপতি মো: মিজান প্রমুখ।
বিজয়ীদের হাতে প্রথম পুরস্কার নগদ ১৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার নগদ ১০ হাজার টাকা এবং তৃতীয় পুরস্কার নগদ ৫ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়। শতবর্ষী এ নৌকা বাইচ ও গ্রামীণ মেলা এবছর শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান দর্শনার্থীরা এবং তারা আশা প্রকাশ করেন যে, আগামীতে এই ধরনের আয়োজন অব্যাহত থাকবে।
প্রিন্ট