ঢাকা , শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ভেড়ামারায় বেড়েছে শিশু শ্রম

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় আশংকাজনক হারে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৌরসভাসহ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ২৩টি গ্রামে এসব শিশু শ্রমিক বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জড়িয়ে পড়ছে। বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার আলো থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ দারিদ্রতা, দ্রব্য মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, শিক্ষা উপকরণের অধিক মূল্য, অভিভাবকের বেকারত্ব, বিভিন্ন গ্রামের নিম্ন আয়ের পরিবারে শিশুরা দু’বেলা দু’মুঠো অন্নের জন্য এসব ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত হচ্ছে। এসব শিশু শ্রমিকের কেউ পিতৃহীন, কেউবা অভাবের কারণে ঘর ছেড়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে পা বাড়াচ্ছে।

ভেড়ামারা উপজেলার বিভিন্ন যায়গা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে। হাটবাজারের চায়ের দোকানে,তামাক ক্ষেতে, নসিমন, করিমন, হোটেল রেস্তোরা, বেকারী, ওয়েল্ডিং কারখানা, ওয়ার্কশপ, লেদ মেশিন কারখানার মত কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় এরা নিয়োজিত।

বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শিশুশ্রম নিষিদ্ধ থাকলেও আইনকে উপেক্ষা করেই অনায়াসে চলছে শিশু শ্রম। ৭-১৪ বছরের এসব শিশু বিভিন্ন পেশায় কঠিন শ্রম দিলেও তাদের প্রতিদিনের আয় সর্বোচ্চ ৩০-৩৫ টাকা ।

অথচ একটি প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিকের মত শ্রম দিলেও ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। দেশে শিশু শ্রমের ব্যপারে প্রচলিত আইনের প্রয়োগ না থাকায় দিন দিন শিশু শ্রমের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশু শ্রম বন্ধে এবং আইনের সঠিক প্রয়োগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন সচেতন মহল।

Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

ভেড়ামারায় বেড়েছে শিশু শ্রম

আপডেট টাইম : ০৫:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় আশংকাজনক হারে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৌরসভাসহ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ২৩টি গ্রামে এসব শিশু শ্রমিক বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জড়িয়ে পড়ছে। বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার আলো থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ দারিদ্রতা, দ্রব্য মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, শিক্ষা উপকরণের অধিক মূল্য, অভিভাবকের বেকারত্ব, বিভিন্ন গ্রামের নিম্ন আয়ের পরিবারে শিশুরা দু’বেলা দু’মুঠো অন্নের জন্য এসব ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত হচ্ছে। এসব শিশু শ্রমিকের কেউ পিতৃহীন, কেউবা অভাবের কারণে ঘর ছেড়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে পা বাড়াচ্ছে।

ভেড়ামারা উপজেলার বিভিন্ন যায়গা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে। হাটবাজারের চায়ের দোকানে,তামাক ক্ষেতে, নসিমন, করিমন, হোটেল রেস্তোরা, বেকারী, ওয়েল্ডিং কারখানা, ওয়ার্কশপ, লেদ মেশিন কারখানার মত কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় এরা নিয়োজিত।

বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শিশুশ্রম নিষিদ্ধ থাকলেও আইনকে উপেক্ষা করেই অনায়াসে চলছে শিশু শ্রম। ৭-১৪ বছরের এসব শিশু বিভিন্ন পেশায় কঠিন শ্রম দিলেও তাদের প্রতিদিনের আয় সর্বোচ্চ ৩০-৩৫ টাকা ।

অথচ একটি প্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিকের মত শ্রম দিলেও ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা। দেশে শিশু শ্রমের ব্যপারে প্রচলিত আইনের প্রয়োগ না থাকায় দিন দিন শিশু শ্রমের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিশু শ্রম বন্ধে এবং আইনের সঠিক প্রয়োগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন সচেতন মহল।