ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ক্রেতাদের নাভিশ্বাস, চাটমোহরে নিত্যপণ্যের বাজারে আগুণ

দু’দিনের ব্যবধানে বেগুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা, কাঁচামরিচের কেজি ৩৫০ টাকা,সব জিনিসের দাম বেড়েছে।  শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে চাটমোহর পুরাতন বাজারে কাঁচাবাজারে এসে কথাগুলো বললেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল গত বৃহস্পতিবার এক কেজি বেগুণ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়। সেই বেগুন শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা কেজি। আজই (শনিবার) ১৩০ টাকা কেজি। একই অবস্থা কাঁচামরিচের। ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে বৃহস্পতিবার।
শুক্রবার থেকে সেই মরিচের দাম ৩৫০ টাকা। এভাবেই প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। পাশাপাশি মুরগি,ডিম আর মাছের দামও বাড়ছেই। নিত্যপণ্যের বাজারে যেন আগুন লেগেছে। প্রতিটি জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায়। সাধারণ ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। নিত্যপণ্য এখন তাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বাজার সিন্ডিকেট। কোন প্রকার তদারকি নেই বাজারে।
সরেজমিনে  শনিবার চাটমোহরের বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে,পটল ১০০ টাকা,ঝিঙে ৮০ টাকা,করলা ১২০ টাকা,ঢেঁড়শ ৮০ টাকা,বরবটি ৬০ টাকা,মুলা শাকসহ ৫০ টাকা,কোল্ড স্টোরেজের টমেটো ২৪০ টাকা,লাল শাক ৮০ টাকা,সবুজ শাক ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। একটি লাউ ৬০ টাকা আর চালকুমড়া ৭০ টাকা। এক হালি কাঁচাকলা ৩০ টাকা,পেঁপের কেজি ৪০ টাকা আর শসা ৮০ টাকা কেজি। ক্রেতারা বাজারে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়ছেন। অনেকেই প্রয়োজনের চেয়ে কম পণ্য কিনে বাড়ি ফিরছেন। এ যেন মগের মুল্লুক। কোন মনিটরিং নেই। যা ইচ্ছে,তাই বিক্রি হচ্ছে।
চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোখলেসুর রহমান বিদ্যুৎ বললেন,আমাদানী কম থাকায় নাকি শাকসবজির দাম বেড়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে সবজি খেত ও মরিচের ক্ষতি হয়েছে,তাই আমদানী কমেছে।
সৈকত গমেজ আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রয়োজনীয় সবজি থেকে শুরু করে সব কিছুর দাম উদ্যগতিতে,আমাদের কয় ক্ষমতার বাহিরে, ১০০০ টাকায়ও বাজার হয় না, সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালিম বলেছেন,বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কেউ দাম বাড়ালে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

ক্রেতাদের নাভিশ্বাস, চাটমোহরে নিত্যপণ্যের বাজারে আগুণ

আপডেট টাইম : ০৮:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
শুভাশীষ ভট্টাচার্য্য তুষার, জেলা প্রতিনিধি পাবনা :
দু’দিনের ব্যবধানে বেগুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা, কাঁচামরিচের কেজি ৩৫০ টাকা,সব জিনিসের দাম বেড়েছে।  শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে চাটমোহর পুরাতন বাজারে কাঁচাবাজারে এসে কথাগুলো বললেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল গত বৃহস্পতিবার এক কেজি বেগুণ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়। সেই বেগুন শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা কেজি। আজই (শনিবার) ১৩০ টাকা কেজি। একই অবস্থা কাঁচামরিচের। ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে বৃহস্পতিবার।
শুক্রবার থেকে সেই মরিচের দাম ৩৫০ টাকা। এভাবেই প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। পাশাপাশি মুরগি,ডিম আর মাছের দামও বাড়ছেই। নিত্যপণ্যের বাজারে যেন আগুন লেগেছে। প্রতিটি জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায়। সাধারণ ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। নিত্যপণ্য এখন তাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। শক্তিশালী হয়ে উঠেছে বাজার সিন্ডিকেট। কোন প্রকার তদারকি নেই বাজারে।
সরেজমিনে  শনিবার চাটমোহরের বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা গেছে,পটল ১০০ টাকা,ঝিঙে ৮০ টাকা,করলা ১২০ টাকা,ঢেঁড়শ ৮০ টাকা,বরবটি ৬০ টাকা,মুলা শাকসহ ৫০ টাকা,কোল্ড স্টোরেজের টমেটো ২৪০ টাকা,লাল শাক ৮০ টাকা,সবুজ শাক ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। একটি লাউ ৬০ টাকা আর চালকুমড়া ৭০ টাকা। এক হালি কাঁচাকলা ৩০ টাকা,পেঁপের কেজি ৪০ টাকা আর শসা ৮০ টাকা কেজি। ক্রেতারা বাজারে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়ছেন। অনেকেই প্রয়োজনের চেয়ে কম পণ্য কিনে বাড়ি ফিরছেন। এ যেন মগের মুল্লুক। কোন মনিটরিং নেই। যা ইচ্ছে,তাই বিক্রি হচ্ছে।
চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোখলেসুর রহমান বিদ্যুৎ বললেন,আমাদানী কম থাকায় নাকি শাকসবজির দাম বেড়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে সবজি খেত ও মরিচের ক্ষতি হয়েছে,তাই আমদানী কমেছে।
সৈকত গমেজ আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রয়োজনীয় সবজি থেকে শুরু করে সব কিছুর দাম উদ্যগতিতে,আমাদের কয় ক্ষমতার বাহিরে, ১০০০ টাকায়ও বাজার হয় না, সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালিম বলেছেন,বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কেউ দাম বাড়ালে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রিন্ট