ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ডাবলিনে গ্রেটার মৌলভীবাজার অ্যাসোসিয়েশন অফ আয়ারল্যান্ডের বার্ষিক সভা Logo নোয়াখালী চাটখিলে চাঁদা না পেয়ে প্রবাসীকে হত্যার হুমকি Logo খোকসায় ১ম হওয়া শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান ও সকল এ+ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা Logo সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী’র ৪ শত কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক Logo বেনাপোলে যুবদলের যৌথ কর্মীসভা Logo পাংশা সরকারী কলেজে জুলাই শহিদ দিবস পালিত Logo যশোরের কেশবপুরে সমাজসেবক বদরুন্নাহার রেশমা চিরনিদ্রায় শায়িত Logo ‘জুলাই শহীদ দিবস–২৫’ উপলক্ষে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণ সভা Logo কৃষি বিজ্ঞানী ড. আলী আফজাল ফুটবল টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে মহম্মদপুর Logo কুষ্টিয়া চাঁদা তোলা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গলা কেটে হত্যার আসামি নাঈম ও নাদিম কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব

আজ (১০ অক্টোবর) র‍্যাব-১১ এর একটি চৌকস দল হাবিবুর রহমান হাবুর গলা কেটে হত্যার ঘটনাটির তদন্ত শুরু করে ও আসামীদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-১১, সিপিএসসি, আদমজীনগর এবং নরসিংদী ক্যাম্প এর যৌথ অভিযানে এই নৃশংস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত চৌয়ালা এলাকার নাঈম মিয়া (৩০), ও নাদিম মিয়া (২৫), উভয় পিতা- মোঃ হাবিবুর রহমান হাবু। এই দুই জনকে দক্ষিণ তারাবো, রূপগঞ্জ এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য, গত এক অক্টোবর দুপুরে নরসিংদীর কাউরিয়া পাড়া পৌর ঈদগাহ মাঠের গেটের সামনে পূর্বশত্রুতার জেরে হানিফ মিয়া (৩২), কে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার করে। এই ঘটনায় চার অক্টোবর নরসিংদী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। যার এফআইআর নং-২, ধারা- ৩০২/১১৪/ ৩৪। নিহত হানিফ মিয়া (৩২), একই এলাকার কালাম মিয়ার ছেলে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, পারিবারিক ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত দেড় মাস আগে নিহত হানিফ মিয়ার ছোট ভাই আব্দুল্লাহ বাবু ও প্রতিবেশী সাজ্জাদ এর সহযোগীতায় তার মামা হাবিবুর রহমান হাবু মিয়াকে হত্যা করে। ওই ঘটনায় নিহত হানিফ ও আব্দুল্লাহ এবং সাজ্জাদের নামে নরসিংদী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে আব্দুল্লাহ বাবু নরসিংদী মডেল থানায় নিজেকে আত্মসমর্পণ করেন।
নিহত হানিফ ও সাজ্জাদ আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে এক অক্টোবর আনুমানিক দুপুর ২ টা সময় আব্দুল কাদের এর ছেলে নিহত হানিফ মিয়া (৩২), নরসিংদী মডেল থানাধীন পৌর ঈদগাহ মাঠে জনৈক ফিরোজ মিয়ার জানাযার নামাজ পড়তে যায়। এই সময় আপন দুই ভাই নাঈম এবং নাদিম ভিকটিম হানিফ মিয়াকে দেখতে পেয়ে নরসিংদী সদর থানাধীন সুরমী সিনেমা হলের সামনে কামারের দোকান থেকে বড় ছুরি ক্রয় করে হোসেন বাজারে উৎ পেতে থাকে।
পরে কাউরিয়াপাড়া পৌর ঈদগাহ মাঠের মেইন গেটের সামনে হানিফ মিয়াকে দেখতে পেয়ে নাদিমের সহযোগীতায় নাঈম ভিকটিমকে প্রকাশ্যে দিবালোকে পেছন থেকে গলার ডান পাশে কোপ মারিলে ভিকটিম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আসামিগন তাদের হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে পুনরায় ভিকটিমের নাকের মাঝ বরাবর কুপিয়ে গভীর ক্ষত করে ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে নরসিংদীর দূর্গম চরে পালিয়ে যায় এবং হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়।
তিন অক্টোবর হতে আঁট অক্টোবর পর্যন্ত তারা নরসিংদীর রায়পুরা থানাধীন নিলক্ষা নাদিমের শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপনে থাকে। পরে নয় অক্টোবর র‍্যাব তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রূপগঞ্জের তারাবো এলাকায় হত্যাকারীদ্বয়ের অবস্থান সনাক্ত করে তাদেরকে গ্রেফতার করেন।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ডাবলিনে গ্রেটার মৌলভীবাজার অ্যাসোসিয়েশন অফ আয়ারল্যান্ডের বার্ষিক সভা

error: Content is protected !!

গলা কেটে হত্যার আসামি নাঈম ও নাদিম কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব

আপডেট টাইম : ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪
মোঃ আলম মৃধা, জেলা প্রতিনিধি, নরসিংদী :
আজ (১০ অক্টোবর) র‍্যাব-১১ এর একটি চৌকস দল হাবিবুর রহমান হাবুর গলা কেটে হত্যার ঘটনাটির তদন্ত শুরু করে ও আসামীদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-১১, সিপিএসসি, আদমজীনগর এবং নরসিংদী ক্যাম্প এর যৌথ অভিযানে এই নৃশংস হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত চৌয়ালা এলাকার নাঈম মিয়া (৩০), ও নাদিম মিয়া (২৫), উভয় পিতা- মোঃ হাবিবুর রহমান হাবু। এই দুই জনকে দক্ষিণ তারাবো, রূপগঞ্জ এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য, গত এক অক্টোবর দুপুরে নরসিংদীর কাউরিয়া পাড়া পৌর ঈদগাহ মাঠের গেটের সামনে পূর্বশত্রুতার জেরে হানিফ মিয়া (৩২), কে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার করে। এই ঘটনায় চার অক্টোবর নরসিংদী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। যার এফআইআর নং-২, ধারা- ৩০২/১১৪/ ৩৪। নিহত হানিফ মিয়া (৩২), একই এলাকার কালাম মিয়ার ছেলে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, পারিবারিক ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত দেড় মাস আগে নিহত হানিফ মিয়ার ছোট ভাই আব্দুল্লাহ বাবু ও প্রতিবেশী সাজ্জাদ এর সহযোগীতায় তার মামা হাবিবুর রহমান হাবু মিয়াকে হত্যা করে। ওই ঘটনায় নিহত হানিফ ও আব্দুল্লাহ এবং সাজ্জাদের নামে নরসিংদী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে আব্দুল্লাহ বাবু নরসিংদী মডেল থানায় নিজেকে আত্মসমর্পণ করেন।
নিহত হানিফ ও সাজ্জাদ আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে এক অক্টোবর আনুমানিক দুপুর ২ টা সময় আব্দুল কাদের এর ছেলে নিহত হানিফ মিয়া (৩২), নরসিংদী মডেল থানাধীন পৌর ঈদগাহ মাঠে জনৈক ফিরোজ মিয়ার জানাযার নামাজ পড়তে যায়। এই সময় আপন দুই ভাই নাঈম এবং নাদিম ভিকটিম হানিফ মিয়াকে দেখতে পেয়ে নরসিংদী সদর থানাধীন সুরমী সিনেমা হলের সামনে কামারের দোকান থেকে বড় ছুরি ক্রয় করে হোসেন বাজারে উৎ পেতে থাকে।
পরে কাউরিয়াপাড়া পৌর ঈদগাহ মাঠের মেইন গেটের সামনে হানিফ মিয়াকে দেখতে পেয়ে নাদিমের সহযোগীতায় নাঈম ভিকটিমকে প্রকাশ্যে দিবালোকে পেছন থেকে গলার ডান পাশে কোপ মারিলে ভিকটিম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আসামিগন তাদের হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে পুনরায় ভিকটিমের নাকের মাঝ বরাবর কুপিয়ে গভীর ক্ষত করে ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে নরসিংদীর দূর্গম চরে পালিয়ে যায় এবং হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়।
তিন অক্টোবর হতে আঁট অক্টোবর পর্যন্ত তারা নরসিংদীর রায়পুরা থানাধীন নিলক্ষা নাদিমের শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপনে থাকে। পরে নয় অক্টোবর র‍্যাব তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রূপগঞ্জের তারাবো এলাকায় হত্যাকারীদ্বয়ের অবস্থান সনাক্ত করে তাদেরকে গ্রেফতার করেন।

প্রিন্ট