ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সালথায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ডাকাতির নাটক, হয়রানী হচ্ছে এলাকাবাসীঃ বিব্রত পুলিশ Logo হজম হচ্ছে না নিয়োগ বাণিজ্যের অবৈধ ঘুষের টাকা মাগুরাতে আলোচিত ৪ নিয়োগ বাণিজ্যের মামলা Logo মাধবদীতে চাঁদা না দেওয়ায় শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ Logo ভেড়ামারায় খাবারে বিষ মিশিয়ে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ নববধূর বিরুদ্ধে Logo তানোরে জামায়াতের স্মরণকালের সর্ববৃহৎ কর্মী সভা Logo তানোরে হিমাগার ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা Logo ফরিদপুরে খেয়ালী ‌ নাট্য সম্প্রদায়ের ২১ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুদিন ব্যাপী নাট্য উৎসব সমাপ্ত Logo কুষ্টিয়ায়-নছিমন সংঘর্ষে গরু ব্যবসায়ী নিহত Logo কালুখালী সরকারী কলেজের প্রভাষক আ: রাজ্জাক আর নেই Logo নাটোরে শ্মশান থেকে যুবকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

দুই মাসেও মেলেনি প্রতিকার

মাগুরাতে স্বপন ঠাকুর পুরোহিতের খামার থেকে গরু লুট

একজন পুরোহিতের খামারে ঢুকে ৪৭ টি বিদেশি জাতের গাভী এবং ১২ টি বাছুরসহ মোট ৫৬ টি গরু লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। পিটিয়ে আহত করেছে খামার মালিক ও তার স্ত্রীকে। করেছে এলাকা ছাড়া। প্রায় দেড় মাস প্রাণভয়ে পালিয়ে ছিলেন পুরো পরিবার।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোতে অভিযোগ দেওয়ার প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও মিলছে না কোনো প্রতিকার। গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাময়িক স্থগিত হয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। এ সুযোগ শতভাগ কাজে লাগায় দুর্বৃত্তরা। শহীদের রক্তে অর্জিত নতুন বাংলাদেশের উপর শকুনের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা। হামলা ও লুটপাট চালায় মাগুরা সদর উপজেলার শত্রুজিৎপুরের স্বপন ভট্টাচার্যের মালিকানাধীন শুভ ডেইরি ফার্মে। তান্ডব চলে সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত। পিটিয়া আহত করা হয় খামার মালিক স্বপন ঠাকুর ও তার স্ত্রীকে। সেদিন নিরব দর্শকের মত তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করার ছিল না স্বপন ও তার পরিবারের। লুটপাট প্রতিহত করার প্রাথমিক চেষ্টা করেছিলেন প্রতিবেশীরাও। কিন্তু দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত বিশাল বাহিনীকে রুখে দেওয়ার মত সক্ষমতা ছিল না তাদের।
লুটপটে নেতৃত্ব দানে অভিযুক্ত সুরমান আলী মুঠোফোনে জানান, ঘটনার দিন তিনি এলাকার বাইরে ছিলেন, ফিরে এসে জানতে পেরেছেন স্বপন ঠাকুরের ফার্ম থেকে গরু লুট হয়েছে। তিনি এ লুট পাটের সাথে জড়িত নন। সামাজিকভাবে ভিন্ন দল করায় প্রতিপক্ষ তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
ঘটনার প্রায় দুই মাস পেরিয়ে গেছে। কিন্তু সেদিনের সেই স্মৃতি আজও দেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিকের  হৃদয়ে  রক্তক্ষরণ করেই চলেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারি স্বপন ভট্টাচার্য এবং তার স্ত্রী শীলা ভট্টাচার্য জানান, গত ৫ আগস্ট উপজেলার শত্রুজিতপুর ইউনিয়নের কালু পাড়ার হুমায়ূন, সুরমান, এবং কোরবানের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একদল দুর্বৃত্ত সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাদের  ফার্ম থেকে গরু লুট করে নিয়ে যায়।
বাধা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদেরকে মারধর শুরু করলে তারা প্রাণভয়ে পালিয়ে যান। বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ দিয়েও এখন পর্যন্ত সুরাহা পাননি তারা। গরু গুলো হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে চরম বিপাকে দিন কাটাচ্ছেন  ক্ষতিগ্রস্ত খামারি স্বপন ঠাকুর ও তার পরিবার। লুটপাট এর খবর শুনে এগিয়ে আসলে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদেরকে তাড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা, বলছেন স্বপন ঠাকুরের প্রতিবেশীরা। খবরটি শোনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত খামারি ও তার পরিবারকে সান্তনা দিয়েছ, বলছেন শত্রুজীতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুফতি ওসমান গনি মুসাপুরী। মধ্যযুগীয় কায়দায় ঘটানো এ নৃশংস ঘটনার সুস্থ তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি লুট হওয়া গরুগুলোর উদ্ধার নিশ্চিত করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা ক্ষতিগ্রস্ত খামারি। তার পরিবার এবং সচেতন এলাকাবাসীর।

প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সালথায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ডাকাতির নাটক, হয়রানী হচ্ছে এলাকাবাসীঃ বিব্রত পুলিশ

error: Content is protected !!

দুই মাসেও মেলেনি প্রতিকার

মাগুরাতে স্বপন ঠাকুর পুরোহিতের খামার থেকে গরু লুট

আপডেট টাইম : ০৬:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
রনি আহমেদ রাজু, জেলা প্রতিনিধি মাগুরা :
একজন পুরোহিতের খামারে ঢুকে ৪৭ টি বিদেশি জাতের গাভী এবং ১২ টি বাছুরসহ মোট ৫৬ টি গরু লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। পিটিয়ে আহত করেছে খামার মালিক ও তার স্ত্রীকে। করেছে এলাকা ছাড়া। প্রায় দেড় মাস প্রাণভয়ে পালিয়ে ছিলেন পুরো পরিবার।
সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোতে অভিযোগ দেওয়ার প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হলেও মিলছে না কোনো প্রতিকার। গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাময়িক স্থগিত হয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। এ সুযোগ শতভাগ কাজে লাগায় দুর্বৃত্তরা। শহীদের রক্তে অর্জিত নতুন বাংলাদেশের উপর শকুনের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা। হামলা ও লুটপাট চালায় মাগুরা সদর উপজেলার শত্রুজিৎপুরের স্বপন ভট্টাচার্যের মালিকানাধীন শুভ ডেইরি ফার্মে। তান্ডব চলে সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত। পিটিয়া আহত করা হয় খামার মালিক স্বপন ঠাকুর ও তার স্ত্রীকে। সেদিন নিরব দর্শকের মত তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করার ছিল না স্বপন ও তার পরিবারের। লুটপাট প্রতিহত করার প্রাথমিক চেষ্টা করেছিলেন প্রতিবেশীরাও। কিন্তু দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত বিশাল বাহিনীকে রুখে দেওয়ার মত সক্ষমতা ছিল না তাদের।
লুটপটে নেতৃত্ব দানে অভিযুক্ত সুরমান আলী মুঠোফোনে জানান, ঘটনার দিন তিনি এলাকার বাইরে ছিলেন, ফিরে এসে জানতে পেরেছেন স্বপন ঠাকুরের ফার্ম থেকে গরু লুট হয়েছে। তিনি এ লুট পাটের সাথে জড়িত নন। সামাজিকভাবে ভিন্ন দল করায় প্রতিপক্ষ তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
ঘটনার প্রায় দুই মাস পেরিয়ে গেছে। কিন্তু সেদিনের সেই স্মৃতি আজও দেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিকের  হৃদয়ে  রক্তক্ষরণ করেই চলেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত খামারি স্বপন ভট্টাচার্য এবং তার স্ত্রী শীলা ভট্টাচার্য জানান, গত ৫ আগস্ট উপজেলার শত্রুজিতপুর ইউনিয়নের কালু পাড়ার হুমায়ূন, সুরমান, এবং কোরবানের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একদল দুর্বৃত্ত সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাদের  ফার্ম থেকে গরু লুট করে নিয়ে যায়।
বাধা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদেরকে মারধর শুরু করলে তারা প্রাণভয়ে পালিয়ে যান। বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগ দিয়েও এখন পর্যন্ত সুরাহা পাননি তারা। গরু গুলো হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে চরম বিপাকে দিন কাটাচ্ছেন  ক্ষতিগ্রস্ত খামারি স্বপন ঠাকুর ও তার পরিবার। লুটপাট এর খবর শুনে এগিয়ে আসলে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদেরকে তাড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা, বলছেন স্বপন ঠাকুরের প্রতিবেশীরা। খবরটি শোনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত খামারি ও তার পরিবারকে সান্তনা দিয়েছ, বলছেন শত্রুজীতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুফতি ওসমান গনি মুসাপুরী। মধ্যযুগীয় কায়দায় ঘটানো এ নৃশংস ঘটনার সুস্থ তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি লুট হওয়া গরুগুলোর উদ্ধার নিশ্চিত করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা ক্ষতিগ্রস্ত খামারি। তার পরিবার এবং সচেতন এলাকাবাসীর।

প্রিন্ট