ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ইরানের খামেনির কাছে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি Logo আ.লীগ একটি বাজে দল, প্রত্যেক লিডারশিপের হাতে রক্তঃ -প্রেস সচিব শফিকুল আলম Logo দৌলতপুর সীমান্তে মাদকসহ ৩ ভারতীয় আটক Logo লালপুরে মারধর ও প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছে মাদক ব্যবসায়ী, আহত ১ Logo বাঘায় পুকুরে গোসল করতে নেমে বয়স্ক নারীর মৃত্যু Logo সদরপুর থানায় নবাগত ওসি নাজমুল হাসানের যোগদান Logo রূপগঞ্জে বালুনদীর উপর চনপাড়া সেতু যেন মরনফাঁদ! Logo ইমাম কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo কাঁফনের কাপড় মাথায় বেঁধে ফরিদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের গণমিছিল Logo সরকারি খাল দখল করে তিনতলা ভবন নির্মাণ, বোয়ালমারীতে কৃষকদের মানববন্ধন
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

ময়নাতদন্ত শেষঃ

কুষ্টিয়ায় স্ত্রী–সন্তান ও যুবককে দুটি করে গুলি করা হয়

কুষ্টিয়ায় গুলিতে নিহত সন্তানসহ নারী ও এক যুবকের লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে লাশগুলোর ময়নাতদন্ত করার পর চিকিৎসক জানান, তিনজনকেই দুটি করে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।।

বিকেল সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত লাশ তিনটির ময়নাতদন্ত করেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার।

তাপস কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, তিনজনকে দুটি করে ছয়টি গুলি করা হয়েছে। প্রত্যেকের মাথায় কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রথমে শাকিল খানের ময়নাতদন্ত করা হয়। তাঁর মাথার বাম পাশে গুলি করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর ডান পায়ের ঊরুতে গুলির চিহ্ন রয়েছে। এরপর আসমা খাতুনের ময়নাতদন্ত করা হয়। আসমার মাথা ও গলায় গুলির চিহ্ন রয়েছে।

সবশেষে শিশু রবিনের (৬) ময়নাতদন্ত করা হয়। রবিনের মাথায় ও পিঠে গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে কারও গুলিই পাওয়া যায়নি। গুলিগুলো শরীর ভেদ করে বাইরে চলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, রবিনকে দৌড়ে পালানোর সময় পেছন থেকে পিঠে গুলি করা হয়। এরপর পড়ে গেলে তার মাথায় গুলি করা হয়।

আজ বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে শহরের পিটিআই সড়কের মুখে তিনতলা ভবনের সামনে আসমা, শাকিল ও রবিনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ আসমার স্বামী এএসআই সৌমেন রায়কে পিস্তলসহ আটক করেছে। তিনি ফুলতলা থানায় কর্মরত। তাঁর বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার আসপা গ্রামে।

কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে গুলি করে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় আটক এএসআই সৌমেন রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় খুলনা রেঞ্জ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। খুলনা রেঞ্জের দু’জন পুলিশ কর্মকর্তাসহ কুষ্টিয়ায় এক পুলিশ কর্মকর্তা তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।

বিকেলে জানতে চাইলে খুলনা জেলার পুলিশ সুপার মাহবুব রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনা জানার পর সৌমেন রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপর তদন্ত শেষে তাঁর বিরুদ্ধে সর্বশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুষ্টিয়া পুলিশ সূত্র জানায়, সৌমেন রায় ২০১৫ সালে কনস্টেবল থেকে এএসআই পদে উন্নীত হন। পরে ২০১৬ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় যোগ দেন। সেখান থেকে জেলার অন্যান্য থানায়ও কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ মিরপুর থানার হালসা ক্যাম্পে ছিলেন। এরপর বাগেরহাট হয়ে খুলনা ফুলতলা থানায় যোগ দেন।

সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শাকিল খানের বাবা মেজবার রহমান বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় সৌমেন রায়কে একমাত্র আসামি করে মামলার এজাহার লিখছিলেন।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, রাতের যে কোনো সময়ে মামলা রেকর্ড হয়ে যাবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ইরানের খামেনির কাছে সৌদি বাদশাহর ‘গোপন’ চিঠি

error: Content is protected !!

ময়নাতদন্ত শেষঃ

কুষ্টিয়ায় স্ত্রী–সন্তান ও যুবককে দুটি করে গুলি করা হয়

আপডেট টাইম : ০৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুন ২০২১
ইসমাইল হোসেন বাবু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ :

কুষ্টিয়ায় গুলিতে নিহত সন্তানসহ নারী ও এক যুবকের লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে লাশগুলোর ময়নাতদন্ত করার পর চিকিৎসক জানান, তিনজনকেই দুটি করে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।।

বিকেল সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত লাশ তিনটির ময়নাতদন্ত করেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার।

তাপস কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, তিনজনকে দুটি করে ছয়টি গুলি করা হয়েছে। প্রত্যেকের মাথায় কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রথমে শাকিল খানের ময়নাতদন্ত করা হয়। তাঁর মাথার বাম পাশে গুলি করা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর ডান পায়ের ঊরুতে গুলির চিহ্ন রয়েছে। এরপর আসমা খাতুনের ময়নাতদন্ত করা হয়। আসমার মাথা ও গলায় গুলির চিহ্ন রয়েছে।

সবশেষে শিশু রবিনের (৬) ময়নাতদন্ত করা হয়। রবিনের মাথায় ও পিঠে গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে কারও গুলিই পাওয়া যায়নি। গুলিগুলো শরীর ভেদ করে বাইরে চলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, রবিনকে দৌড়ে পালানোর সময় পেছন থেকে পিঠে গুলি করা হয়। এরপর পড়ে গেলে তার মাথায় গুলি করা হয়।

আজ বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে শহরের পিটিআই সড়কের মুখে তিনতলা ভবনের সামনে আসমা, শাকিল ও রবিনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ আসমার স্বামী এএসআই সৌমেন রায়কে পিস্তলসহ আটক করেছে। তিনি ফুলতলা থানায় কর্মরত। তাঁর বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার আসপা গ্রামে।

কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে গুলি করে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় আটক এএসআই সৌমেন রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় খুলনা রেঞ্জ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। খুলনা রেঞ্জের দু’জন পুলিশ কর্মকর্তাসহ কুষ্টিয়ায় এক পুলিশ কর্মকর্তা তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।

বিকেলে জানতে চাইলে খুলনা জেলার পুলিশ সুপার মাহবুব রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনা জানার পর সৌমেন রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপর তদন্ত শেষে তাঁর বিরুদ্ধে সর্বশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুষ্টিয়া পুলিশ সূত্র জানায়, সৌমেন রায় ২০১৫ সালে কনস্টেবল থেকে এএসআই পদে উন্নীত হন। পরে ২০১৬ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় যোগ দেন। সেখান থেকে জেলার অন্যান্য থানায়ও কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ মিরপুর থানার হালসা ক্যাম্পে ছিলেন। এরপর বাগেরহাট হয়ে খুলনা ফুলতলা থানায় যোগ দেন।

সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শাকিল খানের বাবা মেজবার রহমান বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় সৌমেন রায়কে একমাত্র আসামি করে মামলার এজাহার লিখছিলেন।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, রাতের যে কোনো সময়ে মামলা রেকর্ড হয়ে যাবে।


প্রিন্ট