ফরিদপুরের ভাঙ্গায় রাতের আঁধারে লালন আনন্দধামে হামলা করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ ভোরে উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের মোটরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এই হামলা ও অগ্নিসংযোগে পুড়ে গেছে মহাত্মা লালন ফকিরের ছবি, বেশ কিছু মূল্যবান গ্রন্থ ও জার্নাল। পুড়িয়ে দেওয়া হয়, একতারা, দোতারা, বায়া, জুড়ি, গিটারসহ বেশ কিছু বাদ্যযন্ত্র। ভাঙচুর করা হয় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ভাস্কর্য।
২০১৩ সালে কাউলিবেড়া ইউনিয়নের মোটরা গ্রামে ৫১ শতাংশ জমির ওপর এ লালন আনন্দধাম প্রতিষ্ঠা করেন সদরপুর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ জাহিদ হাসান (৪২)।
এই আনন্দধামে নিয়মিত পাঠচক্র, লোকসাহিত্য নিয়ে গবেষণাসহ লোক গান ও লালন সংগীত, রবীন্দ্র-নজরুল-জসীমউদ্দীন জন্মজয়ন্তী পালনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। এসব আসরে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা সমবেত হয়ে বিভিন্ন কাজ পরিচালনা করতেন।
লালন আনন্দধাম প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ জাহিদ হাসান জানান, আনন্দধামটি সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা গাছ বেয়ে ভেতরে ঢুকে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা আনন্দধামের বিভিন্ন কক্ষ থেকে বই ও বাদ্যযন্ত্র এক জায়গায় এনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর আগেও একদল দুর্বৃত্ত এ আনন্দধামের সিসি ক্যামেরাগুলি ভাঙচুর করে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার একাধিক গোষ্ঠী লালন আনন্দধামে হামলা করার অপেক্ষায় ছিল। গত ১২ সেপ্টেম্বর সামাজিকে যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আনন্দধামে হামলা করার হুমকি দিয়েছিল। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি দ্রুত এ বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।