নাটোরের লালপুরে চা ও মুদি দোকানের বাঁকির ২০০ টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে আব্দুস সালাম (৪৫) নামে এক দোকানদারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত ওহিদুল নামের একজন বনপাড়া একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার (১অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে চৌষুডাঙ্গা পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুস সালাম ওই একই উপজেলার চৌষুডাঙ্গা গ্রামের ইয়াজউদ্দিনের ছেলে ও আটককৃত সাহেব আলী আব্দুল মজিদের ছেলে।
লালপুর থানা ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সাহেব আলী (৩৫) দীর্ঘ দিন ধরে সালামের চা ও মুদি দোকানে বাঁকিতে বিভিন্ন মালামাল ক্রয় করত। দোকানের বাঁকি ২০০ টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সাহেবে ও দোকানদার সালামের মধ্যে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা রাতে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় সাহেব আলী ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ি ফিরে যায়।
প্রতিদিনের ন্যায় রাতে সালাম দোকান বন্ধ করে দোকানেই ঘুমিয়ে পড়েন। এমন সময় সুযোগ বুঝে গভীর রাতে সাহেব দোকানে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরে দিলে বুঝতে পেরে সালাম দোকান ঘর হতে বাহিরে বের হন। এ সময় ঘাতক সাহেব সালামকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে ঘাড়ের ওপর কোপ দিলে ঘটনা স্থলে ওই দোকানদারের মৃত্যু হয়। এসময় এলাকাবাসী ঘটনা স্থলে দোকান ঘরটি আগুনে পুড়তে ও সালামের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে।
বিষয়টি জানাজানি হলে মঙ্গলবার (১অক্টোবর) রাত ২টার দিকে পার্শ্ববর্তী এলাকার গোদুড়া গ্রামের মধ্য দিয়ে ওই ঘাতক পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই গ্রামের রহিম তালুকদারের ছেলে ওহিদুল (২৮) তার নাম পরিচয় জানতে চাইলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘাতক সাহেবকে আটক করে।
এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে সাহেব আলীকে আসামি করে লালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুজ্জামান জানান পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত আব্দুস সালামের ভাতিজা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘাতক সাহেব আলীকে আটক করা হয়েছে।