ফরিদপুরে ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৯টায় ফরিদপুর জিলা স্কুলে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এ অলিম্পিয়াডের সূচনা হয়।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি মো. হাফিজুর রহমান। একই সময় ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াড এর পতাকা উত্তোলন করেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কুদ্দুছ ভুঁইয়া।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রীতিলতা সরকার ও জেলা সহকারী বন সংরক্ষক মোস্তফা আল হোসাইন।
ওয়াল্ড লাইফ অলিম্পিয়াড উদ্বোধন করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি মো. হাফিজুর রহমান বলেন,
বন্যপ্রাণী আমাদের প্রতিবেশী। তারাও এই পৃথিবীর অধিবাসী। একটি মানুষের যেমন পৃথিবীর পৃথিবীর প্রতি অধিকার রয়েছে তেমনি প্রতিটি প্রাণির সমান অধিকার আছে। প্রাণীক’লের প্রতি মমত্ববোধ সৃষ্টি করতে ওয়াইল্ডলাইফ অলিম্পিয়াড ভুমিকা রাখবে।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কুদ্দুছ ভুঁইয়া বলেন, পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা করতে জীব বৈচিত্রের রক্ষা করার কোন বিকল্প নেই। অভিযোজন ক্রিয়া সচল রাখতে হলে প্রতিটি প্রাণিকে রক্ষা করতে হবে।
জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রীতিলতা সরকার বলেন, এ বিদ্যালয়ে এ জাতীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য প্রকান্তরে জিলাস্কুল সম্মানিত হয়েছে।
পরে গ্যাস বেলুনের সাথে ফেস্টুন উড়িয়ে দিয়ে উদ্বোধনী পর্বের সমাপ্তি ঘটে। এরপর দুটি পর্বে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্বে অষ্টম থেকে দশম এবং দ্বিতীয় পর্বে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আধা ঘন্টার পরীক্ষায় অংশ নেয়।
পরীক্ষা শেষে স্কুল পর্যায়ে ১৫ জন ও কলেজ পর্যায়ে ৫ জনসহ মোট ২০জনকে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ ঘোষণা করা হয়। দুটি গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছয়জন পরবর্তিতে ঢাকায় জাতীয় পর্বে অংশ গ্রহণের সুযোগ পাবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধিনে বন অধিদপ্তর এ অলিম্পিয়াডের আয়োজন করে। বন বিভাগের উদ্যোগে দেশের ৬৪ জেলায় এ অলিম্পিয়াড এর আয়োজন করা হয়।
প্রিন্ট