মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) কে নিয়ে ভারতীয় পুরোহিত রামগিরি মহারাজ এর কটূক্তি ও সেই বক্তব্যকে বিজেপির এক নেতার সমর্থন দেয়ার প্রতিবাদে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাদ জোহর আছর পর্যন্ত ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা সদরে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সদরপুর উপজেলা উলামা পরিষদের আয়োজনে সদরপুর উপজেলা সদরের হাসপাতাল মোড় বালুর মাঠে প্রতিবাদ সভা শেষে নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার স্নোগান দিতে দিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সদরপুর এতিমখানার ও মাদরাসা মোড়ে মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভকারী মাদরাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন, স্কুল-কলেজর শিক্ষার্থী, তৌহিদী জনতা ও সর্বস্তরের জনসাধারণের উপস্তিতিতে গণ মিছিলে বিশ্বনবীর অপমান, রুথে দিবে মুসলমান, বিশ্বের মুসলিম এক হও; লড়াই করো, বিশ্বনবীর অপমান, সইবে নারে মুসলমান, তোমার নেতা আমার নেতা, বিশ্বনবী মোস্তফা (সা:), সবাই মিলাই হাতে হাত, মোরা রাসূলের উম্মাত- সহ বিভিন্ন স্রোগান দেন।
প্রতিবাদ সভায় সমাপনী বক্তব্য দেন এবং মুনাজাত পরিচালনা করেন সংগঠনের সভাপতি মাওলানা সাদিকুর রহমান সিদ্দিকী।
প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং সদরপুর উপজেলা মুফতী বোর্ডের সভাপতি মুফতী মুহাম্মাদ জাকির হুসাইন ফরিদী, সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আলহাজ্জ মাওলানা আব্দুল লতিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রাশেদুল ইসলাম সহ মুফতী মামুনুর রশীদ, মাওলানা রেজাউল করিম, মুফতী আখতার হুসাইন, মাওলানা নূর মোহাম্মদ, মুফতী জাবের হুসাইন, হাফেজ আব্দুল আউয়াল, মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, মুফতী মিজানুর রহমান রাজী, হাফেজ মাওলানা রইসুল ইসলাম, মাওলানা শরীয়াতুল্লাহ, মুফতী মোতাহার হুসাইন এবং মানবিক সংগঠনের সভাপতি সরোয়ার হোসাইন প্রমুখ।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া উলামায়ে কেরাম, তৌহিদী জনতা ও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ভারতের বিতর্কিত ধর্মীয় প্রচারক রামগিরি মহারাজ মহারাষ্ট্রের এক ধর্মীয় সভায় রাসূল (সা.) ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেছেন। এতে রাজ্যের এক বিজেপি নেতা সমর্থন দিয়েছেন। এছাড়াও মসজিদে ঢুকে মুসলিমদের ওপর হামলা চালানোর হুমকিও দিয়েছেন ঐ কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা।
বক্তারা বলেন, কোনো ধর্মই অন্য ধর্মকে কটূক্তি করার শিক্ষা দেয় না। মানবতার শ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-কে অপমান করা মানবতাবাদী আদর্শকে অপমান করা। প্রকৃত মুমিনরা কখনও উগ্রবাদকে ছাড় দেয় না। রাসূল (সা.) নিয়ে যারা কটূক্তি করে তারা গোটা মুসলিম উম্মার দুশমন। পৃথিবীর মুসলিমরা তাদের শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে এই কটূক্তির অপমান সহ্য করবে না।
সভায় বক্তারা ভারতীয় পুরোহিত ও বিজেপি নেতার এই ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্যের জন্য তাদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ্বন্ড প্রদানের দাবী জানান। একই সঙ্গে ভারতীয় সরকারকে সমগ্র মুসলিম উম্মার কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে নিন্দা জানাতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানান।