ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

২০ হাজার বাংলাদেশির পাসপোর্ট ফেরত দিলো ভারত

♦ ভিসার জন্য বিক্ষোভ এবং হুমকিমূলক ইমেইলের প্রেক্ষিতে ভারতের এ পদক্ষেপ ♦ দুই দেশের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে ভারতীয় হাইকমিশন সতর্কতা অবলম্বন করছে

রোববার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং দ্যা প্রিন্ট।

গত আগস্ট মাসে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকায়, পাসপোর্টগুলি ভারতীয় হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে ছিল।

 

এমন অবস্থায় বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আপৎকালীন এবং চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া আপাতত বাংলাদেশি নাগরিকদের অন্য কোনো ভিসা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

 

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, বর্তমানে শুধুমাত্র সীমিত সংখ্যক জরুরি ভিসার আবেদনগুলো প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু ব্যতিক্রম ভিসা আবেদনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেমন— মেডিকেল ইমার্জেন্সি, স্টুডেন্ট ভিসা এবং তৃতীয় দেশে ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় ডবল-এনট্রি ভিসা।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের কারণে দেশজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলো অনেকাংশে বন্ধ ছিল, ফলে অনেক আবেদনকারীর পাসপোর্ট ঢাকার হাইকমিশনের কাছে থেকে যায়।

 

আর এর কারণে হতাশাগ্রস্ত আবেদনকারীদের অনেকেই ব্যাপকভাবে হাইকমিশনে ইমেইল করছেন, এমনকি কিছু ইমেইলে ভাঙচুরের হুমকিও রয়েছে।

 

প্রতিবেদনগুলোতে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, ভিসা আবেদন কেন্দ্রের সদস্যরা প্রশ্নবাণে জর্জরিত হচ্ছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো জনগণের অসন্তোষ প্রকাশের স্থানে পরিণত হয়েছে। ক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের অভিযোগ জানানোর সময় প্রায়শই হাইকমিশনকে ট্যাগ করছে।

 

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, ভারতে বিদেশি পর্যটক ও দর্শনার্থীদের ভ্রমণে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে বাংলাদেশের। শুধুমাত্র ২০২৩ সালে প্রায় ১৬ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকের ভিসা ইস্যু করেছিল ভারত, যার মধ্যে প্রায় সাড়ে চার লাখ ভিসা ইস্যু হয়েছিল চিকিৎসার উদ্দেশ্যে।

 

তবে হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে ভারতীয় ভিসা প্রদান কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ রয়েছে।

 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের মধ্যে চলমান অস্থিরতা এবং দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে ভারতীয় হাইকমিশন সতর্কতা অবলম্বন করছে। এছাড়া অস্থায়ী ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছে হাইকমিশন।

 

এদিকে উভয় দেশের সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে বলেও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ
error: Content is protected !!

২০ হাজার বাংলাদেশির পাসপোর্ট ফেরত দিলো ভারত

আপডেট টাইম : ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সময়ের প্রত্যাশা অনলাইন ডেস্ক :

রোববার প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং দ্যা প্রিন্ট।

গত আগস্ট মাসে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসা পরিষেবা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত থাকায়, পাসপোর্টগুলি ভারতীয় হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে ছিল।

 

এমন অবস্থায় বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসার আবেদনের ক্ষেত্রে অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আপৎকালীন এবং চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া আপাতত বাংলাদেশি নাগরিকদের অন্য কোনো ভিসা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।

 

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, বর্তমানে শুধুমাত্র সীমিত সংখ্যক জরুরি ভিসার আবেদনগুলো প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। এর মধ্যে কিছু ব্যতিক্রম ভিসা আবেদনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেমন— মেডিকেল ইমার্জেন্সি, স্টুডেন্ট ভিসা এবং তৃতীয় দেশে ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় ডবল-এনট্রি ভিসা।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের কারণে দেশজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলো অনেকাংশে বন্ধ ছিল, ফলে অনেক আবেদনকারীর পাসপোর্ট ঢাকার হাইকমিশনের কাছে থেকে যায়।

 

আর এর কারণে হতাশাগ্রস্ত আবেদনকারীদের অনেকেই ব্যাপকভাবে হাইকমিশনে ইমেইল করছেন, এমনকি কিছু ইমেইলে ভাঙচুরের হুমকিও রয়েছে।

 

প্রতিবেদনগুলোতে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, ভিসা আবেদন কেন্দ্রের সদস্যরা প্রশ্নবাণে জর্জরিত হচ্ছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো জনগণের অসন্তোষ প্রকাশের স্থানে পরিণত হয়েছে। ক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের অভিযোগ জানানোর সময় প্রায়শই হাইকমিশনকে ট্যাগ করছে।

 

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, ভারতে বিদেশি পর্যটক ও দর্শনার্থীদের ভ্রমণে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে বাংলাদেশের। শুধুমাত্র ২০২৩ সালে প্রায় ১৬ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকের ভিসা ইস্যু করেছিল ভারত, যার মধ্যে প্রায় সাড়ে চার লাখ ভিসা ইস্যু হয়েছিল চিকিৎসার উদ্দেশ্যে।

 

তবে হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে ভারতীয় ভিসা প্রদান কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ রয়েছে।

 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের মধ্যে চলমান অস্থিরতা এবং দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে ভারতীয় হাইকমিশন সতর্কতা অবলম্বন করছে। এছাড়া অস্থায়ী ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করছে হাইকমিশন।

 

এদিকে উভয় দেশের সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে বলেও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।


প্রিন্ট