রাজবাড়ী জেলার পাংশায় পৌরসভার প্লান অনুমোদনবিহীন বিসমিল্লাহ টাওয়ার নামের বহুতল বিশিষ্ট বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ কার্যক্রমে ভ্রাম্যমান আদালতে দুই হাজার টাকা জরিমানা ও প্লান অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর)
বিকালে পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত), পাংশা পৌরসভার প্রশাসক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদুর রহমান রুবেল ভ্রাম্যমান
আদালতে এ অর্থদন্ড ও নির্দেশনা প্রদান করেন।
জানা যায়, গত দুই বছর ধরে পাংশার ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন, আমিরুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম পাংশা শহরে বিসমিল্লাহ টাওয়ার নামের বহুতল বিশিষ্ট বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করছেন। ইতোমধ্যে আন্ডারগ্রাউন্ড ও উপরের দুই তলা পর্যন্ত ভবনের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে। চলতি বছরের ১৩ আগস্ট নির্মাণাধীন ভবনের মালিক পক্ষের আমিরুল ইসলাম গং পৌরসভার প্লান অনুমোদনের ফি বাবদ ভ্যাটসহ তিন লক্ষ চুরাশি হাজার চার শত ষাট টাকা পৌরসভায় জমা দেন।
এদিকে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ প্লান অনুমোদন না হওয়ায় ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধের মৌখিক নির্দেশনা দেন। মৌখিক নির্দেশনা পালন না করায় শনিবার বিকালে সরেজমিন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত), পাংশা পৌরসভার প্রশাসক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদুর রহমান রুবেল।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে নির্মাণাধীন ভবনের মালিক পক্ষ প্লান অনুমোদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানায়। তারা প্লান অনুমোদনের জন্য ভ্যাটসহ তিন লক্ষ চুরাশি হাজার চার শত ষাট টাকা পৌরসভায় জমা দেওয়ার রশিদ প্রদর্শন করে। শীঘ্রই প্লান অনুমোদনের প্রত্যয়ন পত্র হাতে
পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন ভবনের মালিকগণ।
অভিযানে পাংশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত), পাংশা পৌরসভার প্রশাসক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদুর রহমান রুবেল বলেন, দুই বছর হল ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। কিন্তু এতদিনেও কেন প্লান অনুমোদন হল না। আমি (পৌরসভার প্রশাসক) সবেমাত্র পাংশা পৌরসভার প্রশাসক
হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি। পৌরসভার দাপ্তরিক সকল কাজ স্বচ্ছতার সাথে পরিচালিত হবে। প্লান অনুমোদনবিহীন ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার বিষয়ে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন ভবনের মালিকসহ সংশ্লিষ্টরা।
এ সময় পাংশা পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহাবুদ্দিন ও পৌরসভার বাজার পরিদর্শক মো. জাফর ইকবাল, পাংশা মডেল থানার এসআই শাহরিয়ার, এএসআই শরিফুল ইসলাম, ভবনের মালিক আমিরুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।