ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

গ্রেফতার দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন

বোয়ালমারীতে প্রকাশ্যে ঘুরছে আকমল হত্যা মামলার আসামীরা

ফরিদপুরের চতুল ইউনিয়নের পোয়াইল গ্রামে দরিদ্র কৃষক আকমল শেখ হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন গ্রামবাসী। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে বাবুরবাজারে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে নিহতদের পরিবার-পরিজনদের সাথে সাধারণ গ্রামবাসীও অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী বাবুরবাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে।

এসময় নিহতের স্বজনেরা জানান, গত ১৭ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক কাঙালি ভোজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আকমল শেখকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতের ছেলে ইব্রাহিম শেখ এ ঘটনায়  চতুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটুকে প্রধান আসামী করে ১৭ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন। হত্যাকান্ডের পর প্রায় তিনমাস অতিবাহিত হলেও কোন আসামী হয়নি। মামলাটি বর্তমানে ফরিদপুরের সিআইডি পুলিশ তদন্ত করছে।

মামনবন্ধনে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হাসমত শেখ বলেন, মামলার প্রধান আসামী ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ সেলিমুজ্জামানের জেলা যুবলীগের বর্তমান অহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এ পর্যন্ত গ্রামে কমপক্ষে দশজনকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। ফরিদা জামান নামে একজন মধ্যবয়সী নারী বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান লিটু শরীফের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা চলমান। তবু তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। আকমল হত্যা মামলার সুষ্ঠ তদন্ত স্বার্থে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছি।

নিহতের স্ত্রী লেকজান বলেন, পুলিশকে আসামীদের দেখিয়ে দেয়ার পরেও তাদের ধরেনি। আমাকে চেয়ারম্যান লিটু শরীফের ভাই বোর্ড অফিসে নিয়ে মামলা করার জন্য হুমকি দিয়ে বলে, তোর ছেলে (ইব্রাহিম) কেও দেখে রাখিস। নিহতের সন্তান ও মামলার বাদি ইব্রাহিম শেখ বলেন, মামলার করার পরে চেয়ারম্যান নিজে আমাদের হুমকি দিচ্ছে। তারা আমাদের পরনের কাপড়ও রাখবে না বলে শাষাচ্ছে।

এব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুরের সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর আক্তরুজ্জামান মিনা মামলা তদন্ত ও আসামীদের গ্রেফতারে অবহেলার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, এই করোনার সময়েও পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারে বাদির লোকজনকে নিয়ে অভিযান চালিয়েছে। এ পর্যন্ত মামলায় ১২ জনের মতো সাক্ষির জবানবন্দি নিয়েছি। আসামীদের গ্রেফতার করার পর চার্জশীট দাখিল সম্ভব হবে।


প্রিন্ট
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ইংরেজি শিক্ষার ১৫ বছর

error: Content is protected !!

গ্রেফতার দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন

বোয়ালমারীতে প্রকাশ্যে ঘুরছে আকমল হত্যা মামলার আসামীরা

আপডেট টাইম : ০২:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুন ২০২১
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: :

ফরিদপুরের চতুল ইউনিয়নের পোয়াইল গ্রামে দরিদ্র কৃষক আকমল শেখ হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন গ্রামবাসী। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে বাবুরবাজারে অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে নিহতদের পরিবার-পরিজনদের সাথে সাধারণ গ্রামবাসীও অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী বাবুরবাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে।

এসময় নিহতের স্বজনেরা জানান, গত ১৭ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক কাঙালি ভোজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আকমল শেখকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতের ছেলে ইব্রাহিম শেখ এ ঘটনায়  চতুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটুকে প্রধান আসামী করে ১৭ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন। হত্যাকান্ডের পর প্রায় তিনমাস অতিবাহিত হলেও কোন আসামী হয়নি। মামলাটি বর্তমানে ফরিদপুরের সিআইডি পুলিশ তদন্ত করছে।

মামনবন্ধনে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হাসমত শেখ বলেন, মামলার প্রধান আসামী ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ সেলিমুজ্জামানের জেলা যুবলীগের বর্তমান অহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এ পর্যন্ত গ্রামে কমপক্ষে দশজনকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। ফরিদা জামান নামে একজন মধ্যবয়সী নারী বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান লিটু শরীফের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা চলমান। তবু তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। আকমল হত্যা মামলার সুষ্ঠ তদন্ত স্বার্থে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছি।

নিহতের স্ত্রী লেকজান বলেন, পুলিশকে আসামীদের দেখিয়ে দেয়ার পরেও তাদের ধরেনি। আমাকে চেয়ারম্যান লিটু শরীফের ভাই বোর্ড অফিসে নিয়ে মামলা করার জন্য হুমকি দিয়ে বলে, তোর ছেলে (ইব্রাহিম) কেও দেখে রাখিস। নিহতের সন্তান ও মামলার বাদি ইব্রাহিম শেখ বলেন, মামলার করার পরে চেয়ারম্যান নিজে আমাদের হুমকি দিচ্ছে। তারা আমাদের পরনের কাপড়ও রাখবে না বলে শাষাচ্ছে।

এব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুরের সিআইডি পুলিশের ইন্সপেক্টর আক্তরুজ্জামান মিনা মামলা তদন্ত ও আসামীদের গ্রেফতারে অবহেলার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, এই করোনার সময়েও পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারে বাদির লোকজনকে নিয়ে অভিযান চালিয়েছে। এ পর্যন্ত মামলায় ১২ জনের মতো সাক্ষির জবানবন্দি নিয়েছি। আসামীদের গ্রেফতার করার পর চার্জশীট দাখিল সম্ভব হবে।


প্রিন্ট