ঢাকা , বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বিএমডিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ Logo কুষ্টিয়ায় অপহরণের শিকার সেই শিশু এখন মায়ের কোলে Logo দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে ২০টি কলেজের পাস করেনি কেউ Logo আল্ট্রাসনোগ্রাম-ইলেকট্রোলাইট অ্যানালাইজার নষ্ট, বাড়তি খরচ রোগীদের Logo যশোর চেম্বারের সাবেক সভাপতির সঙ্গে সজাগ নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo গোপালগঞ্জে বিশ্ব সাদাছড়ি নিরাপত্তা দিবস পালিত Logo ফরিদপুর সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতির উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ লাইভস্টক এন্ড নিউট্রিশন প্রকল্পের উদ্যোগে ফরিদপুরে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত Logo মাগুরার শালিখা উপজেলার মদ্যপানে দুই যুবকের মৃত্যু, অসুস্থ এক Logo বোয়ালমারীর বিলচাপাদাহে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধি নিয়োগ
দৈনিক সময়ের প্রত্যাশা পত্রিকার জন্য সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আপনি আপনার এলাকায় সাংবাদিকতা পেশায় আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।

আমতলীতে কাশফুল ফুটে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে প্রাণ-প্রাকৃতিতে

শরৎকাল মানেই সাদা রঙের খেলা। নীল আকাশে সাদা মেঘ আর নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে দোল খাওয়া কাশবন মনে জাগায় অন্য রকম অনুভূতি। শারদীয় এ ঋতুতে ভ্রমণবিলাসীদের প্রথম পছন্দ কাশবন। কাশ ফুলের ছোঁয়া পেতে দুর দুরান্ত থেকে ছুটে আসে প্রকৃতি প্রেমী মানুষজন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরগুনা আমতলী উপজেলার ফায়ার সার্ভিস এর অপর পাশে, পৌরসভা, বেতমোর এলাকাসহ বিভিন্ন রাস্তার পাশে দোল খাচ্ছে কাশবন। প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠেছে ছোট একটি কাশ ফুলের বাগান। জেগে উঠা কাশবন দেখতে প্রতিনিয়ত পর্যটকরা ভীড় করছেন। কাশফুলের অপার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন তারা। যান্ত্রিক জীবনের কোলাহল ছেড়ে মুক্ত আনন্দ পেতে প্রতিনিয়ত মানুষ ছুটে আসছে এ কাশবনে। বিশেষ করে শেষ বিকেলের মুহুর্তে এটার সৌন্দর্য আরো অনেকগুণ বেড়ে যায়। এ কারণে বেশিরভাগ পর্যটক আসছেন বিকেলে। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থীরা কাশবনে সেলফি বা নিজের ছবিটা ক্যামেরা বন্ধি করছে। আবার কাউকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কন্টেট তৈরী করতেও দেখা গেছে।
আমতলী চাওরা ইউনিয়ন থেকে কাশবন দেখতে আসা এক মায়ের সাথে কথা বললে তিনি জানান, মানসিক শান্তি আর কাশফুলের শুভ্রতা উপভোগ করতে এখানে ছুটে এসেছি। কাজের চাপে প্রায়ই বাচ্চাদেরকে সময় দিতে পারি না। কাশফুলের বাগান কাছাকাছি হওয়াতে আমরা প্রায় এখানে আসি। কাশ ফুলের বাগানে ঘুরতে এসে বাচ্চারা অনেক তৃপ্তি পায়। কাশফুলের সেই মনোমুগ্ধকর দৃশ্যগুলো সত্যিই নজর কাড়ে।
কাশফুল দেখতে আসা প্রকৃতি প্রেমী মোঃ ইমরান জানান, কাশফুল ছাড়া শরত পরিপূর্ণ না। এখানে বিভিন্ন উপজেলা থেকে পর্যটকরা কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসে। কিন্তু দুঃখের বিষয় অনেক পর্যটকই ফুল ছিঁড়ে নিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন ফুলের সৌন্দর্য হাতে নয় গাছেই সোভা পায়।
এ বিষয়ে আমরা আমতলীবাসী সংগঠনের সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, দিগন্ত জোড়া কাশফুলের মনোরম দৃশ্য মানব মনকে করে তোলে আন্দোলিত ও প্রফুল্ল। কাশবন শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না, এর রয়েছে নানা ঔষধি গুণও।
Tag :
এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

বিএমডিএ চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ

error: Content is protected !!

আমতলীতে কাশফুল ফুটে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে প্রাণ-প্রাকৃতিতে

আপডেট টাইম : ০৩:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মোঃ ইমরান হোসাইন, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি :
শরৎকাল মানেই সাদা রঙের খেলা। নীল আকাশে সাদা মেঘ আর নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে দোল খাওয়া কাশবন মনে জাগায় অন্য রকম অনুভূতি। শারদীয় এ ঋতুতে ভ্রমণবিলাসীদের প্রথম পছন্দ কাশবন। কাশ ফুলের ছোঁয়া পেতে দুর দুরান্ত থেকে ছুটে আসে প্রকৃতি প্রেমী মানুষজন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরগুনা আমতলী উপজেলার ফায়ার সার্ভিস এর অপর পাশে, পৌরসভা, বেতমোর এলাকাসহ বিভিন্ন রাস্তার পাশে দোল খাচ্ছে কাশবন। প্রাকৃতিকভাবে গড়ে উঠেছে ছোট একটি কাশ ফুলের বাগান। জেগে উঠা কাশবন দেখতে প্রতিনিয়ত পর্যটকরা ভীড় করছেন। কাশফুলের অপার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হচ্ছেন তারা। যান্ত্রিক জীবনের কোলাহল ছেড়ে মুক্ত আনন্দ পেতে প্রতিনিয়ত মানুষ ছুটে আসছে এ কাশবনে। বিশেষ করে শেষ বিকেলের মুহুর্তে এটার সৌন্দর্য আরো অনেকগুণ বেড়ে যায়। এ কারণে বেশিরভাগ পর্যটক আসছেন বিকেলে। প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থীরা কাশবনে সেলফি বা নিজের ছবিটা ক্যামেরা বন্ধি করছে। আবার কাউকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কন্টেট তৈরী করতেও দেখা গেছে।
আমতলী চাওরা ইউনিয়ন থেকে কাশবন দেখতে আসা এক মায়ের সাথে কথা বললে তিনি জানান, মানসিক শান্তি আর কাশফুলের শুভ্রতা উপভোগ করতে এখানে ছুটে এসেছি। কাজের চাপে প্রায়ই বাচ্চাদেরকে সময় দিতে পারি না। কাশফুলের বাগান কাছাকাছি হওয়াতে আমরা প্রায় এখানে আসি। কাশ ফুলের বাগানে ঘুরতে এসে বাচ্চারা অনেক তৃপ্তি পায়। কাশফুলের সেই মনোমুগ্ধকর দৃশ্যগুলো সত্যিই নজর কাড়ে।
কাশফুল দেখতে আসা প্রকৃতি প্রেমী মোঃ ইমরান জানান, কাশফুল ছাড়া শরত পরিপূর্ণ না। এখানে বিভিন্ন উপজেলা থেকে পর্যটকরা কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসে। কিন্তু দুঃখের বিষয় অনেক পর্যটকই ফুল ছিঁড়ে নিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন ফুলের সৌন্দর্য হাতে নয় গাছেই সোভা পায়।
এ বিষয়ে আমরা আমতলীবাসী সংগঠনের সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, দিগন্ত জোড়া কাশফুলের মনোরম দৃশ্য মানব মনকে করে তোলে আন্দোলিত ও প্রফুল্ল। কাশবন শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না, এর রয়েছে নানা ঔষধি গুণও।