নড়াইল সদরের বিলডুমুরতলা গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের পাঁচটি বাাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
গ্রামবাসী ও দলীয় নেতাকর্র্মীরা জানান, নড়াইল সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়ন বিএনপির (স্থগিত কমিটি) সভাপতি প্রতিপক্ষের হুমায়ুন মোল্যা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে বিএনপির অপর গ্রæপের নেতাকর্মীদের বাড়িঘর গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এতে বিএনপি নেতা টিংকু গ্রুপের পাঁকা এবং টিনশেডের পাঁচটি বাড়িঘর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
জেলা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম টিংকু বলেন, গ্রামে আধিপত্য বিস্তার করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নেতা হুমায়ুন মোল্যা দলীয় নেতাকর্মীদের শায়েস্তা করতে বাড়িঘর ভাঙচুর করেছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ উপেক্ষা করে হুমায়ুন মোল্যা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অনুপ্রবেশ করিয়ে বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের শায়েস্তা করছেন।
প্রতিপক্ষের হামলায় হবখালী ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি এখলাস মোল্যা, হবখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্মআহবায়ক হাফিজুর মোল্যা, আনসার সদস্য রিপন মোল্যা, আসাদ মোল্যা ও ইলিয়াস মোল্যার বাড়িঘর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন-এখলাস মোল্যার স্ত্রী ঝর্ণা বেগম (৪০), কেরামত মোল্যার স্ত্রী পাখিয়া বেগম (৫৫) ইলিয়াস মোল্যার স্ত্রী পারভীন বেগম (৩০) মনিবাবু (৪৫) ও মফিজুর মোল্যা (৪০)। এদেরকে নড়াইল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, স্থানীয় যুবদল নেতা সোহেল মোল্যা বাদী হয়ে শনিবার রাতে ১২জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
তবে, এ অভিযোগ অস্বীকার করে হবখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রতিপক্ষের হুমায়ুন মোল্যা বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন ষড়যন্ত্র করে আমাদের লোকজনের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
নড়াইল সদর থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বিলডুমুরতলা গ্রামে প্রতিপক্ষের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।