কুষ্টিয়ায় আন্দোলনকারী তামজিদ হোসেন জনিকে (২৬) হত্যাচেষ্টা মামলায় গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তিন কাউন্সিলরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। রোববার তাদের তিনজনসহ মোট ছয় আসামিকে জামিন দেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানার আদালত।
তাদের জামিন বাতিল ও বিচারককে প্রত্যাহারের দাবিতে ২২ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে বিক্ষোভ মিছিল এবং মানববন্ধন করেছেন ছাত্র-জনতা। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের সামনে বিক্ষোভে ছাত্র-জনতা, বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ তিন শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জামিন পাওয়া তিন কাউন্সিলর হলেন-কুষ্টিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল হক মুরাদ, ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম নজু ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিছ কোরাইশী। তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়ার অন্যতম সমন্বয়ক তৌকির আহমেদ। তিনি বলেন, জীবন ও রক্তের বিনিময়ে আমরা ছাত্র-জনতা দেশটাকে নতুনভাবে স্বাধীন করেছি। আন্দোলনকারীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আওয়ামী লীগের নেতা, পৌরসভার কাউন্সিলরসহ ছয়জনকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
আদের জামিন বাতিল, বিচারক মাহমুদা সুলতানাকে প্রত্যাহার, আন্দোলনে হত্যা এবং হত্যাচেষ্টা মামলার সকল আসামির শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আন্দোলনকারীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে জামিন দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচির ডাক দেব।
এ সময় বক্তারা বলেন, আন্দোলনকারীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামিকে জামিন দিয়েছে আওয়ামী লীগের পরিবারের বিচারক মাহমুদা সুলতানা। আওয়ামী লীগের খুনিদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। আন্দোলনকারীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তারের দুই দিন পরে তিন কাউন্সিলরকে জামিন দিয়েছে। এ ছাড়া ছয় আসামিকে জামিন দিয়েছে তিনি। তাকে দ্রুত প্রত্যাহার করা হোক। জামিনের ঘটনা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
একইসঙ্গে কুষ্টিয়ায় আন্দোলনকারীদের হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলার সকল আসামিদের জামিন বাতিল করতে হবে৷ তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আমাদের দাবি মানা না হলে আগামীতে আমরা কঠোর কর্মসূচি পালন করব।