অবিলম্বে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের উভয়পার্শ্বে যানজটের সৃষ্টি হয়। উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে সড়েকর দুইপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। তারা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহাসড়ক ছেড়ে দেন।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা, ‘ইবিয়ানদের লক্ষ্য, ভিসি হবে দক্ষ’, ‘রাবি, ঢাবি ভিসি পায়, ইবি কেন পিছিয়ে যায়’, ‘সবাই যখন স্বর্গে, ইবি কেন মর্গে, ‘ভিসি নিয়ে নয় ছয়, আর নয় আর নয়’, ‘সংস্কারমনা ভিসি চাই’, ‘সৎ ও সাহসী ভিসি চাই’, ‘সেশনজটের কবর চাই’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উপাচার্য পেয়ে গেছে। সেখানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়, তাতে এখনো কেন ভিসি নিয়োগ হচ্ছে না। যদি অতি দ্রুত ভিসি নিয়োগ না দেওয়া হয় তাহলে আমরা আরও কঠোর হব। আমরা আমাদের ক্লাসে ফিরতে চাই, মাঠে নয়। অনতিবিলম্বে ইবিতে উপাচার্য নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। সৎ, দক্ষ, শিক্ষার্থীবান্ধব উপাচার্য চাই। কোনো দুর্নীতিবাজ যেন ইবির উপাচার্য না হয়।
তারা আরও বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তার প্রতিষ্ঠাকালীন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থেকে ছিটকে পড়েছে। সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করবে এমন উপাচার্য নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি। আমরা এমন উপাচার্য চাই না যিনি পূর্বে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। অতীতের সব কর্মকাণ্ড দেখে যোগ্য ব্যক্তিকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। যে সব সময় শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে কাজ করবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, উপাচার্য নিয়োগ না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থবির হয়ে পড়েছে। আমরা চাই দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু হোক।
প্রিন্ট