ঝালকাঠি রাজাপুরে প্রতিবারের ন্যায় এ বছরও শারদীয় দূর্গা পূজার আয়োজন চলছে পুরোদমে। এ বছর রাজাপুর উপজেলায ১৯ টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে, যা গত বছরের চেয়ে তিনটি পূজা মন্দির কম। শুক্তাগড় ইউনিয়নে দুইটি পূজা মন্দিরে পূজা হচ্ছে না এবং গালুয়া ইউনিয়নের কামারখালীর পূজা মন্দিরে পূজা হচ্ছে না। এ বছর সাতুরিয়া ইউনিয়নে ছয়টি, শুক্তাগড় ইউনিয়নে পাঁচটি, রাজাপুর ইউনিয়নে চারটি, গালুয়া ইউনিয়নে একটি, মঠবাড়ি ইউনিয়নে তিনটিতে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
নারায়ণ চন্দ্র দে কবিরাজ বাড়ি পূজা মন্দিরের সভাপতি রুহিদাস বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মিঠুন চক্রবর্তী জানান আমাদের পূজার প্রস্তুতি ভালো ভাবেই এগিয়ে চলছে তবে প্রশাসনের বাহিরে কেউ পাহারার দ্বায়িত্ব পালন করুক তা আমরা চাই না। কেন্দ্রীয় হরিসভা মন্দিরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রান বল্লভ সাহা জানান, আমাদের পূজার কাজ চলছে ঠিকমতই। তবে বন্যা ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আয়োজন কিছুটা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন বরাদ্দের বিষয় জানিয়েছেন রেগুলার যে বরাদ্দ ৫ শত কেজি চাল হয় সেটা হবে তবে বাড়তি কোন বরাদ্দের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত আসেনি।
রাজাপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রতন দেবনাথ জানিয়েছেন পূজার প্রস্তুুতি এখন পর্যন্ত সন্তোষ জনক। আমারা বিভিন্ন পূজা মন্ডপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সাথে যোগাযোগ রাখছি। এছাড়াও প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেত্রীবৃন্দর সাথে নিয়মিতভাবে যোগাযোগ হচ্ছে যাতে করে শার্বজনীন এই উৎসবটি সুন্দর ও সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়।