গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান, এই হত্যা মামলায় উল্লেখিত আসামিদের কয়েকজনকে পূর্বেই ৫৪ ধারায় আটক করা হয়েছিল। বাকিদের গ্ৰেফতার করতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এর পূর্বে বিএনপির গাড়ি বহরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্দয় ও কাপুরুষোচিত হামলা, ভাংচুর ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা শওকত আলী দিদারকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ১৪ সেপ্টেম্বর বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী তার নিজ বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় মা-বাবার কবর জিয়ারত করতে যাচ্ছিলেন। এছাড়াও ঐদিন কেন্দ্রীয় এ নেতাকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা বিএনপির ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথা ছিল। স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির টুঙ্গিপাড়ায় আগমন উপলক্ষ্যে জেলা শহরের ঘোনাপাড়া এলাকায় পথসভার আয়োজন করেন স্থানীয় বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিকাল সাড়ে ৩টায় জেলা শহরের বেদগ্রাম এলাকায় পথসভা শেষে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গাড়ি বহর নিয়ে ঘোনাপাড়া উদ্দেশ্যে রওনা হন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। গাড়িবহর টি ঘোনাপাড়ায় পৌঁছালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন ছেড়ার অভিযোগ তুলে তাদের ওপর হামলা চালান।
পরে রাত ৮টার দিকে ঘোনাপাড়ার পাশে চরপাথালিয়া গ্ৰামের বাংলালিংক টাওয়ার এর কাছে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদারকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের দাবি আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তাকে বেধড়ক পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে সড়কের পাশে ফেলে রেখেছিল।