রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার পদ্মার কোলনদীতে অবৈধ উপায়ে মাছ শিকার করছে একদল জলদস্যু। এতে ১১ লক্ষাধিক টাকার পুজি হারাচ্ছে জলমহলের লীজ গ্রহীতা মো: আলামিন মন্ডল মন্টু।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ওমর আলীর নেতৃত্বে জিন্নাহ, আমীন, মুক্তার, সামসু, মমি ন, রশিদ, বাবলু, রাজীব, মোক্তার ওরফে সাকাই, কাসী, নিরঞ্জন, আজিম, রফিক, মজিদ সহ আরো ১০/১২ জন দুর্বত্ত রুপসা এলাকার পদ্মানদীর কোলে দস্যুতা করে মাছ শিকার করছে। জলমহালের লীজ গ্রহিতা এদেরকে নানাভাবে বাধা দিলেও তা মানেনি দস্যুদল।
দস্যুতা করে মাছ শিকার করা দুর্বত্তরা মৎস্য আইনকেও অবজ্ঞা করছে। তারা মাছ শিকারে ঘনব্যার জাল ও নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারীর ব্যবহার করছে। মাছ শিকারে এসব যন্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হলেও মানছে না দস্যুরা।
শিকারিদের কাছে অন্যের জলমহালে মাছ শিকারের কারন জানতে চাইলে তারা জানায়, কালুখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমাদের মাছ মারতে বলেছে। লীজ গ্রহীতার টাকা দিতে নিষেধ করেছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক এর সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। মোবাাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
লীজ গ্রহীতা মো আলামিন মন্ডল মন্টুর সাথে দেখা হয় তার বাড়ীতে। জলমহাল আর অর্থ হারিয়ে সে এখন নি:স্ব হয়ে পরেছে। মন্টু জানায়,
আমি ৫ বছরে প্রায় ১১ লক্ষ টাকার লীজের টাকা পরিশোধ করি। কিন্তু মাছ মারতে পারিনি। এতোদিন রাজবাড়ী ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. জিল্লুল হাকীমের নির্দেশে একদল দস্যু আমার লীজকৃত জলমহাল এর মাছ লুট করে নিয়ে গেছে। সম্প্রতি তার পতন হলেও দস্যুরা লুটপাট অব্যাহত রেখেছে। তারা কালুখালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার নির্দেশে, চায়না দুয়ারী ও ঘন সুতার ব্যারজাল ব্যবহার করে মাছের রেনুগুলোও ধ্বংস করছে। তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকের প্রতি অনুরোধ জানান।
প্রিন্ট