ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৪ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
স্কুলের পুকুর ইজারা না দিয়ে মাছ চাষ করার অভিযোগ কমিটির বিরুদ্ধে নড়াইলে ট্রাফিক আইন অমান্য করায় ৪,৩৭,০০০ টাকা জরিমানা ও যানবাহন আটক নড়াইলে পুলিশের অভিযানে গাঁজাসহ চিহ্নিত ও পেশাদার মাদক কারবারি আটক কোটালীপাড়ায় জমি বিক্রির নামে প্রবাসীর টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ কুষ্টিয়া মহাসড়কে আলহাজ্ব পরিবহনে বিজিবির অভিযান, হেরোইন উদ্ধার সাংবাদিক পুত্র মমোশ্বাদ ট্যালেন্টপুলে স্কলারশীপ পেয়েছেন রাজনগরে ৭ জুয়াড়ী গ্রেফতার ফরিদপুর জেলা ডিবি পুলিশ কর্তৃক ইয়াবাসহ একজন মাদকব্যবসায়ী গ্রেপ্তার মাগুরা হাজরাপুর ইউনিয়নে লিগ্যাল এইড কমিটির আইন সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত পাংশা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃত্তিপ্রাপ্ত ৩১জন কৃতি শিক্ষার্থীর সংবর্ধনা

ঝিনাইদহে শুরু হয়েছে মধুবৃক্ষ খেজুর গাছের রস সংগ্রহ

মধুবৃক্ষ খেজুর গাছের রস সংগ্রহ করছে গাছীরা। -জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ থেকা।

ঝিনাইদহের ছয়টি উপজেলার গাছিদের মধ্যে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে বেশ আগে ভাগেই শেষ হয়ে গেছে খেজুর গাছ তোলা ও ঝোড়া। এ কারনে মহেশপুরের গাছীরা এখন মহা ব্যাস্ত। আগাম খেজুর রস সংগ্রহ করতে জেলার ছয়টি উপজেলার গ্রামীন জনপদের সর্বত্রই মধুবৃক্ষ খেজুর গাছ ঝোড়া শেষ কয়েছে। গাছিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছ থেকে আগে ভাগে রস সংগ্রের উপযোগী করে গড়ে তুলতে।

আর মাত্র কয়েকদিন পর থেকেই গ্রাম বাংলার গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতিক মধু বৃক্ষকে ঘিরে গ্রামীন জনপদে শুরু হবে এক উৎসব মুখর পরিবেশ। মধু বৃক্ষ থেকে গাছিরা সংগ্র করবে সুমিষ্ট খেজুর রস ,তাতে তৈরি হবে লোভনীয় নলেন গুড় ও পাটালী। রস জ্বালিয়ে ভিজানো পিঠা ও পায়েস খাওয়ার ধুম পড়বে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীন জনপদে। দানা, ঝোলা ও নলেন স্বাদ ও ঘ্রানই আলাদা। গ্রাম বাংলার রসনা তৃপ্তিতে খেজুরের গুড়-পাটালীর কোন বিকল্প নেই। শীত মওসুমে গ্রাম বাংলার এক নতুন আমেজের সৃষ্টি হবে।

এক সময় মহেশপুর উপজেলা খেজুরের রস,গুড় ও পাটালি উৎপাদনে জেলার প্রসিদ্ধ ছিল। অতীতে এখানকার খেজুর রসের যে যশ ছিল এখন তা দিনে দিনে হারাতে বসেছে। গ্রাম বাংলার সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক এ খাতে সরকারী কোন পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় বর্তমান আর আগের মত রস,গুড় উৎপাদন হয় না। সুঘ্রান নলেন গুড় উপজেলার নির্দিষ্ট কয়েকটি গ্রাম ছাড়া পাওয়া যায় না। তা আবার চাহিদা তুলনায় অত্যন্ত কম। তার পরও যে রস ,গুড় ও পাটালী তৈরি হয় তা দিয়ে শীত মওসুমে রীতিমত কাড়াকাড়ি শুরু হয়। এ বছরও ব্যাতিক্রম হবে না বলে ধারনা করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই শহরের লোকজন গ্রামের গাছিদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন। আবার কেউ কেউ গাছিদের নিকট অগ্রীম টাকা তুলে দিচ্ছেন ভাল রস,গুড় ও পাটালী পাওয়ার আশায়। অগ্রীম টাকা পেয়ে অনেক গাছি রস সংগ্রের উপকরণ কিনছেন। উপজেলার শংকরহুদা ও বাথানগাছী গ্রামের গাছি আজগার আলী ও করিম বলেন, এবছর একটু আগে ভাগেই গাছ ঝোড়া বা কাটা শেষ করেছি। এখন গাছের রস সংগ্রহ চলছে। তারা আরও বলেন ভাটার কারনে অনেক খেজুর গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এখন তেমন একটা বেশি খেজুর গাছ না থাকায় গাছিরাও খেজুর রস সংগ্রহের জন্য তেমন আগ্রহ দেখান না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হসান আলী জানান,এ উপজেলায় প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে খেজুরের চাষ করা হয়। বিভিন্ন চাষে আমরা প্রতিশ্রæতি দিয়ে থাকি কিন্তু দঃখ্যজনক হলো বরাদ্দ না থাকায় আমরা খেজুর চাষিদের সহযোগীতা করতে পারিনা। তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি। মহেশপুরের খেজুরের রস একটি ঐতিহ্য তাই ঐতিহ্য ধরে রাখতে বেশি বেশি খেজুর খাছ রোপনের মাধ্যমে ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা চাষিদের উদ্বুদ্ধ করছি এবং আগামীতে আমরা চেষ্টা করবো খেজুর চাষিদের সহায়তা করতে।

Tag :

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

স্কুলের পুকুর ইজারা না দিয়ে মাছ চাষ করার অভিযোগ কমিটির বিরুদ্ধে

error: Content is protected !!

ঝিনাইদহে শুরু হয়েছে মধুবৃক্ষ খেজুর গাছের রস সংগ্রহ

আপডেট টাইম : ০২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ ডিসেম্বর ২০২০

ঝিনাইদহের ছয়টি উপজেলার গাছিদের মধ্যে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে বেশ আগে ভাগেই শেষ হয়ে গেছে খেজুর গাছ তোলা ও ঝোড়া। এ কারনে মহেশপুরের গাছীরা এখন মহা ব্যাস্ত। আগাম খেজুর রস সংগ্রহ করতে জেলার ছয়টি উপজেলার গ্রামীন জনপদের সর্বত্রই মধুবৃক্ষ খেজুর গাছ ঝোড়া শেষ কয়েছে। গাছিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছ থেকে আগে ভাগে রস সংগ্রের উপযোগী করে গড়ে তুলতে।

আর মাত্র কয়েকদিন পর থেকেই গ্রাম বাংলার গৌরব আর ঐতিহ্যের প্রতিক মধু বৃক্ষকে ঘিরে গ্রামীন জনপদে শুরু হবে এক উৎসব মুখর পরিবেশ। মধু বৃক্ষ থেকে গাছিরা সংগ্র করবে সুমিষ্ট খেজুর রস ,তাতে তৈরি হবে লোভনীয় নলেন গুড় ও পাটালী। রস জ্বালিয়ে ভিজানো পিঠা ও পায়েস খাওয়ার ধুম পড়বে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীন জনপদে। দানা, ঝোলা ও নলেন স্বাদ ও ঘ্রানই আলাদা। গ্রাম বাংলার রসনা তৃপ্তিতে খেজুরের গুড়-পাটালীর কোন বিকল্প নেই। শীত মওসুমে গ্রাম বাংলার এক নতুন আমেজের সৃষ্টি হবে।

এক সময় মহেশপুর উপজেলা খেজুরের রস,গুড় ও পাটালি উৎপাদনে জেলার প্রসিদ্ধ ছিল। অতীতে এখানকার খেজুর রসের যে যশ ছিল এখন তা দিনে দিনে হারাতে বসেছে। গ্রাম বাংলার সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক এ খাতে সরকারী কোন পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় বর্তমান আর আগের মত রস,গুড় উৎপাদন হয় না। সুঘ্রান নলেন গুড় উপজেলার নির্দিষ্ট কয়েকটি গ্রাম ছাড়া পাওয়া যায় না। তা আবার চাহিদা তুলনায় অত্যন্ত কম। তার পরও যে রস ,গুড় ও পাটালী তৈরি হয় তা দিয়ে শীত মওসুমে রীতিমত কাড়াকাড়ি শুরু হয়। এ বছরও ব্যাতিক্রম হবে না বলে ধারনা করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই শহরের লোকজন গ্রামের গাছিদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন। আবার কেউ কেউ গাছিদের নিকট অগ্রীম টাকা তুলে দিচ্ছেন ভাল রস,গুড় ও পাটালী পাওয়ার আশায়। অগ্রীম টাকা পেয়ে অনেক গাছি রস সংগ্রের উপকরণ কিনছেন। উপজেলার শংকরহুদা ও বাথানগাছী গ্রামের গাছি আজগার আলী ও করিম বলেন, এবছর একটু আগে ভাগেই গাছ ঝোড়া বা কাটা শেষ করেছি। এখন গাছের রস সংগ্রহ চলছে। তারা আরও বলেন ভাটার কারনে অনেক খেজুর গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এখন তেমন একটা বেশি খেজুর গাছ না থাকায় গাছিরাও খেজুর রস সংগ্রহের জন্য তেমন আগ্রহ দেখান না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হসান আলী জানান,এ উপজেলায় প্রায় ৫ হেক্টর জমিতে খেজুরের চাষ করা হয়। বিভিন্ন চাষে আমরা প্রতিশ্রæতি দিয়ে থাকি কিন্তু দঃখ্যজনক হলো বরাদ্দ না থাকায় আমরা খেজুর চাষিদের সহযোগীতা করতে পারিনা। তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি। মহেশপুরের খেজুরের রস একটি ঐতিহ্য তাই ঐতিহ্য ধরে রাখতে বেশি বেশি খেজুর খাছ রোপনের মাধ্যমে ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা চাষিদের উদ্বুদ্ধ করছি এবং আগামীতে আমরা চেষ্টা করবো খেজুর চাষিদের সহায়তা করতে।