কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ভুয়া ভাউচার তৈরি করে বেশি দামে সার বিক্রি, নিয়মিত দোকান না খোলা ও প্রাপ্ত সারের সঠিক হিসাব না থাকার এক ডিলারকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
কুমারখালী স্টেশন বাজার এলাকার মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর মো. কামরুজ্জামান রতনকে এ জরিমানা করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুষ্টিয়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মণ্ডল। এসময় কুমারখালী কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ফারুক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, বিসিআইসির নিয়ম অনুযায়ী একজন ডিলারকে নিয়মিত দোকান খুলতে হবে এবং ন্যায্য মূল্যে সার বিক্রি করতে হবে। কিন্তু মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজ দীর্ঘদিন ধরে নিয়ম ভেঙে অধিকাংশ সময় দোকান বন্ধ রাখে। এছাড়া বিভিন্ন নামে ভুয়া ভাউচার তৈরি করে বেশি দামে সার বিক্রি করে আসছে।
ভুক্তভোগীদের এসব অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ডিলার মো. কামরুজ্জামান রতনকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কুষ্টিয়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মণ্ডল বলেন, বিভিন্ন নামে ভুয়া ভাউচার তৈরি করে বেশি দামে সার বিক্রি, নিয়মিত দোকান না খোলা ও প্রাপ্ত সারের সঠিক হিসাব না থাকার অপরাধে মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজের ডিলারকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও নিয়ম কানুন মেনে চলতে কঠোর সতর্কীকরণ করা হয়েছে।