‘দাবি এক ডাক্তার নামজুলের পদত্যাগ, দুর্নীতিবাজ হাটাও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বাঁচাও, এক দফা এক দাবি নামজুল হাসানের পদত্যাগ দাবি। এমন স্লোগানো স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চত্ত্বর।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সামনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী প্লেকার্ড হাতে আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হাসানের পদত্যাগের জন্য বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এসময় শিক্ষাথীরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মধ্যে প্রবেশ করে নামজুলের রুমে তালা মেরে দেন। এসব ডাক্তার নামজুলকে হাসপাতালে পাওয়া যাইনি। এরপূর্বে শিক্ষার্থীরা গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন।
সমাবেশে আগত শিক্ষার্থীরা জানান, আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. নাজমুল হাসান উক্ত প্রতিষ্ঠানে প্রায় আট বছর চাকুরীতে যোগদান করেন। চার বছর আগে পদন্নতি হয়ে একই প্রতিষ্ঠানে আবাসিক মেডিকেল অফিসার থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হন। এরপর থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্নখাতে দুর্নীতির সাথে ব্যপক ভাবে জড়িয়ে পড়েন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ক্লিনিক মালিক জানান, ডা. নাজমুর হাসান আমাদের কাছে নিয়মিত মাসিক চাঁদার টাকা দাবি করতো, তার ইচ্ছে মতো মাসিক ধার্যকৃত টাকা না দিলে ক্লিনিক বন্ধ করে দিবে বলে ভয় দেখাতেন।
খবর নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার কঠোর আন্দোলন হবে এমন খবর জানতে পেরে ডাক্তার নামজুল হাসান বুধবার গভীর রাতে হাসপাতল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
আলফাডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক) ডা.জিনিয়া জানান, শিক্ষার্থীরা স্যারের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করেছে। তারা একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছে আমরা ইমেলে ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছি। স্যার ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ দিনের ছুটি নিয়েছেন। স্যারের দুর্নীতি বা অনিয়মের বিষয়ে আমাদের কিছু জানা নেই।
ডা. নাজমল হাসানের সাথে এ বিষয়ে নিয়ে কথা বলার জন্য ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফরিদপুরের সিভিল সার্জন অফিসের ব্যবহৃত ০১৭১৭২৮৫৭২১ নম্বারে একাধিক বার ফোন দিলে কেউ ফোন ধরেননি।