রাজশাহীর তানোরের চাঁন্দুড়িয়া ডাঃ আবু বকর হাই স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোখলেসুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষক-কর্মচারীরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সুনিদ্রিষ্ট ১২টি অনিয়মের উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।এদিকে এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।সচেতন মহল বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে অধ্যক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, চাঁন্দুড়িয়া ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমানের ছোট ভাই অধ্যক্ষ মোখলেসুর রহমান। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে তিনি দলীয় প্রভাববিস্তার করে প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর নিপিড়ন, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং একক ক্ষমতাবলে প্রতিষ্ঠানের অর্থ লোপাট করেছেন। অভিভাবক মহল বলেন, দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ মোখলেসুরকে অপসারণ করা না হলে তারা তাদের ছেলেমেয়েদের এখানে লেখাপড়া করাবেন না।
এদিকে লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, বিগত ১০ বছর যাবৎ অত্যন্তরীণ আয় ব্যয়ের হিসাব দেননি। এছাড়াও আম গাছ, পুরাতন টিন, পুরাতন বই, খাতা ও ২৪টি পুরাতন ফ্যান টেন্ডার ছাড়া বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ। বিগত ১০ বছর যাবৎ শিক্ষকদের টিউশন ফি দেননি।
অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের সাধারণ ফান্ড ও রিজার্ভ ফান্ডের ক্লিয়ারেঞ্জ দেন না।
এদিকে কলেজ শাখার ২২ জন শিক্ষক কর্মচারী ও মাধ্যমিক শাখার আয়া পদে স্বোচ্ছাচারিতার মাধ্যমে বহু অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ বানিজ্য।
এছাড়াও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃক ভুয়া অভিট আনানো সত্ত্বেও ২০২১-২০২২ সেশনে অনলাইনে মন্ত্রনালয় অডিটের কথা বলে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধের হুমকি দিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ। করোনা কালীন (অটোপাশ) ৮ম শ্রেণি এবং এসএসসি পরীক্ষার বোর্ড কর্তৃক ফেরৎ কৃত টাকা শিক্ষার্থীদের ফেরৎ না দিয়ে আত্মসাৎ। এসএসসি পাশের প্রশংসা ও সনদপত্র প্রদানে বিনা রশিদে ১০০ থেকে ১০০০ টাকা আদায়। অধ্যক্ষ নিজে রশিন ছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছে পরীক্ষার ফি, রেজিষ্ট্রেশন ফি এবং এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পুরনের টাকা উত্তোলন করেন।এছাড়াও স্কুল বিল্ডিংয়ের ক্লাশ রুম কোচিং সেন্টারের
কাছে ভাড়া দিয়ে গত তিন বছর যাবৎ মাসে ৮ হাজার টাকা হারে আত্মসাৎ করেছে। নিয়মবহির্ভূত ভাবে পকেট কমিটি গঠন এবং প্রতিষ্ঠানের সকল বিষয়ে একক আধিপত্ব বিস্তার করে রেখেছেন এবং সরকারী অনুদানের সঠিক হিসাব দেয়া হয়না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে চাঁন্দুড়িয়া ডাঃ আবু বকর স্কুল এ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষ মোখলেসুর রহমান বলেন,রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তাকে ফাঁসাতে তার বিরুদ্ধে মিথ্য অভিযোগ করা হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,অভিযোগ পাওয়া গেছে,তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রিন্ট